ড. মো. আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

১১ ডিসেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, সূর্যিমামা ডুবেছে, চাঁদ মামা উঁকি দিয়েছে মিষ্টি আলো নিয়ে ঢাকার আকাশে। আজ ১২ ডিসেম্বর, শুক্রবার ২০২৫। অফিস-আদালত বন্ধ। শিশির ভেজা কাক ডাকা ভোরে সূর্যিমামা উঠেছে ঢাকার আকাশে। প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে চলছে। কিন্তু দেশের আনাচে-কানাচে এখন একটাই আলোচনা-ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কারণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছেন।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ তারিখে এই নির্বাচন এবং একই দিনে জুলাই চার্টার গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আসুন আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর নির্বাচন করি। ভোটের আস্থা অর্জনই হোক আপনাদের লক্ষ্য। কমিশন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কোনো শিথিলতা বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না।’ গণমাধ্যমকেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানান সিইসি।

এই ঘোষণার পর বাংলাদেশের মানুষের মনে দানা বেঁধেছে আশা-হতাশা মেশানো এক আবেগঘন দৃশ্যপট। ঢাকার এ দোকানটি লোকে লোকারণ্য। সবাই গোল হয়ে বসে আছে একটি টেলিভিশনের সামনে। খবর শেষ হতেই শুরু হলো আলোচনা। বৃদ্ধ মতিন সাহেব, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অবশেষে একটা তারিখ তো পেলাম। গত নির্বাচন (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি) তো প্রহসনই ছিল। এবার ডক্টর ইউনূসের সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে, আশা করি সুষ্ঠু ভোট হবে। আমরা শান্তিতে ভোটটা দিতে পারলেই বাঁচি।’ তার চোখেমুখে এক দীর্ঘশ্বাসের ছাপ, যা বিগত বছরগুলোর রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা মনে করিয়ে দেয়। মতিন সাহেব বললেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

তরুণ রফিক, ‘অবশ্যই ভোট হবে চাচা! লক্ষ্মীপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত সব জায়গায় মানুষ উৎসবের অপেক্ষায় আছে। বিএনপি এবং জামায়াতও তপশিলকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রথমবার জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট এক সাথে হচ্ছে, এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য দারুণ সুযোগ!’ তারুণ্যের চোখে উজ্জ্বল স্বপ্ন, যারা হয়তো প্রথমবার সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বিএনপির সমর্থক।

রহমত চাচা, ‘উৎসব! কিসের উৎসব? এইটা কি তামাশার নির্বাচন নাকি? যেখানে দেশের বেশিরভাগ জনগণ গত নির্বাচনে অংশই নেয় না, সেখানে হঠাৎ এত আশা কীভাবে আসে? টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না!’ তার কথায় ফুটে ওঠে গভীর হতাশা ও রাজনৈতিক আস্থাহীনতা। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।

শিক্ষিত যুবক সজল, ‘রহমত চাচা, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গত আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সবাই মনেপ্রাণে চাইছেন, এবার যেন অবশ্যই ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষা।’

চায়ের দোকানের ধোঁয়া আর মানুষের ফিসফিসানি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সবার মনে একটাই প্রশ্ন ১২ ফেব্রুয়ারির সূর্য কি সত্যিই নতুন আশার আলো বয়ে আনবে, নাকি হতাশার কালো মেঘ আবার গ্রাস করবে সোনার বাংলাকে?

বিশ্ব ইতিহাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বা সময়সূচি নির্ধারণে বিভিন্ন দেশে বৈচিত্র্যপূর্ণ পদ্ধতি ও রীতি দেখা যায়। প্রধান পার্থক্যগুলো সাধারণত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্দিষ্ট থাকা বা না থাকা, এবং কে বা কোন সংস্থা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তার ওপর নির্ভর করে। এ পর্যায়ে আসছি পৃথিবীর কয়েকটি দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের বৈচিত্র্য ও রকমফের নিয়ে :

বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের তারিখ সংবিধানে বা আইনে নির্দিষ্ট করা থাকে এবং ক্ষমতাসীন সরকার সাধারণত এই তারিখ পরিবর্তন করতে পারে না।যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন সবসময় নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরবর্তী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার কিছু প্রদেশ ও কানাডাতেও নির্দিষ্ট মেয়াদের নির্বাচন হয়। এই পদ্ধতি নির্বাচনী সুবিধাবাদ কমায়, কারণ সরকার নিজেদের সুবিধামতো সময়ে নির্বাচন ডাকতে পারে না।

যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতির অনুসারী দেশগুলোতে, যেমন : যুক্তরাজ্য (২০২২ সাল থেকে পুনরায়), কানাডা (আংশিকভাবে), অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ডেনমার্ক, প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান সংসদের সর্বোচ্চ মেয়াদের (সাধারণত ৫ বছর) যে কোনো সময় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানকে পরামর্শ দিতে পারেন। এই ব্যবস্থায় সরকার রাজনৈতিক সুবিধা অনুযায়ী অনুকূল সময়ে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করতে পারে। যদিও বর্তমানে অনেক দেশই নির্দিষ্ট তারিখের দিকে ঝুঁকছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের তারিখ কে ঘোষণা করে, তাতেও বৈচিত্র্য আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারিখ জানান। অন্যান্য সিস্টেমে, যেমন আয়ারল্যান্ডে মন্ত্রী তারিখ নির্ধারণ করেন বা সুইডেনে সংসদের স্পিকার এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন।

বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট দিনে ভোট হয়। যেমন, ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণত বুধবার, আয়ারল্যান্ডে শুক্রবার, লাটভিয়ায় শনিবার এবং জাপান বা ইতালিতে রোববার নির্বাচন হয়। অন্যদিকে, ভারতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে ফসল কাটার মৌসুমের মতো সাংস্কৃতিক ও লজিস্টিক্যাল বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়।

এতো গেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটের ছিটেফোঁটা।বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল সাধারণত নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ বা মাস আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি (তফসিল) ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে পূর্ববর্তী ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ এ ধাপে যুক্ত করা হলো : প্রথম জাতীয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৭ মার্চ ১৯৭৩। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। তৃতীয় জাতীয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৭ মে ১৯৮৬। চতুর্থ জাতীয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৩ মার্চ ১৯৮৮। ৫ম জাতীয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১। ৬ষ্ঠ জাতীয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ১২ জুন ১৯৯৬। ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ১ অক্টোবর ২০০১। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৫ জানুয়ারি ২০১৪। ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮। ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ৭ জানুয়ারি ২০২৪।

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট -১৯৯৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে প্রধান বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে সংবিধান সংশোধন করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে প্রধান বিরোধী দলগুলোর বর্জনের কারণে বিতর্কিত হয়েছিল এবং এই নির্বাচনের পরপরই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। ষষ্ঠ ও সপ্তম নির্বাচন একই বছরে (১৯৯৬) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোটা রাতে হওয়া, আমি তুমি এবং ডামি নির্বাচনে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের অধীনেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি কাল্পনিক দৃশ্যপট লিখে এ নিবন্ধের সমাপ্তি টানছি :

কাল্পনিক রাষ্ট্র ‘রূপান্তর’-এ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। এই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জনমনে গভীর উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তা। পরিস্থিতিটা এমন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নির্বাচন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে, নাকি দেশ ধ্বংসের হাতিয়ার- এই প্রশ্নই এখন মুখে মুখে ঘুরছে। দৃশ্যপটটি শুরু হয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক পরপরই। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর একটি এবং জোটো, যা জনগণের একটি বিশাল অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে নির্বাচন থেকে বাদ পড়ে যায়। এই আকস্মিক ঘটনা রূপান্তরের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেন এক সুনামি বয়ে আনে। দলটির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দানা বাধে।

সাধারণ জনগণ, যারা বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিরতা দেখে ক্লান্ত, তারা নতুন করে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করে। তাদের ভয়, একটি বড় দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনটি একতরফা হবে এবং এর ফলে দেশজুড়ে নতুন করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই সংঘাতের ভয়ে অধিকাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার যতই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিক না কেন, জনগণের আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

ভোটের দিন, রূপান্তরের রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল জনশূন্য। যে উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণত ভোট অনুষ্ঠিত হয়, তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। ভোটারদের কম উপস্থিতি স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে, এই নির্বাচন জনগণের ম্যান্ডেট বহন করছে না।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, এই নির্বাচন কি সত্যিই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন? উত্তর সম্ভবত ‘না’-বাচক। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যখন অংশগ্রহণের পথ রুদ্ধ হয়, তখন সেই প্রক্রিয়া তার বৈধতা হারায়। জনগণের একটি বড় অংশ যখন মনে করে যে তাদের পছন্দের দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, তখন পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, এই পরিস্থিতি কি দেশ ধ্বংসের হাতিয়ার হবে? এটি নির্ভর করে পরবর্তী রাজনৈতিক গতিবিধির ওপর। যদি নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়, তবে নিঃসন্দেহে এই নির্বাচন দেশের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।

পরিশেষে বলা যায়, রূপান্তরের এই কাল্পনিক নির্বাচনটি গণতন্ত্রের এক করুণ চিত্র। অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন ছাড়া জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত প্রতিফলন সম্ভব নয়। যখন জনমনে সংঘাতের ভয় জেঁকে বসে এবং অধিকাংশ ভোটার ভোটদান থেকে বিরত থাকে, তখন সেই নির্বাচন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এটি দেশের জন্য সুদূরপ্রসারী কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, বরং বিভেদ ও ধ্বংসের বীজ বপন করার ঝুঁকি তৈরি করে।

লেখক : ড. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক, প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাদির ওপর হামলা / এক ফেসবুক পেজ থেকেই শিবিরকে জড়িয়ে ৪টি ভুয়া ফটোকার্ড ভাইরাল 

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় উপড়ে ফেলা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রতিষ্ঠানে লাইন ম্যানেজাররা যেভাবে সাফল্যের অদৃশ্য শক্তিতে পরিণত হতে পারেন

রিজভীর বক্তব্যকে বোগাস বললেন ডিএমপি কমিশনার

এক্সের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অভিযোগ’ ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

‘মেধাবী’ প্রকল্পকে  জবির ‘হল’ হিসেবে বিবেচনা না করার অনুরোধ আস-সুন্নাহর

হাদির চিকিৎসায় ১১ সিদ্ধান্ত ও পর্যবেক্ষণ জানাল বিশেষ মেডিকেল টিম

প্রকাশ্যে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন, রাজনৈতিক উদ্দেশের অভিযোগ ইশরাকের

১০

উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম : ফারিয়া

১১

জুলাই যোদ্ধা ও বিকেএসপি

১২

আমরা জান্নাতের টিকিট দিতে পারব না কিন্তু উন্নয়ন দিতে পারব : দুলু

১৩

বুবলীর পর এবার অপুর নায়ক সজল

১৪

ওসমান হাদিকে গুলি  / ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৫

টাঙ্গাইল কারাগারে শাড়ি-জামদানি উৎপাদন শুরু

১৬

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলের বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

১৭

রাকসুর জিএসকে হত্যার হুমকি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাদের

১৮

‘ব্রেন ডেথ’ কী, এটা থেকে কখনো সেরে ওঠা যায়?

১৯

রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের ৩ জাহাজ

২০
X