মো. রিফাত-উর-রহমান
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মো. রিফাত-উর-রহমান

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক টেকসই পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা

মহাস্থানগড়ের গোবিন্দ ভিটা। ছবি : সৌজন্য
মহাস্থানগড়ের গোবিন্দ ভিটা। ছবি : সৌজন্য

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৮ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরতলা গ্রামের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত নিয়ে গবেষণা করছে। এই গ্রামটি বেছে নেওয়ার কারণ হলো আমাদের বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি যেন মাঠভিত্তিক হাতে-কলমে প্রায়োগিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পায় এবং পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণামুখী হয়ে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়। এজন্য আমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যিনি আমাদের বিভাগকে প্রায়োগিক গবেষণায় উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে, বিভাগটি গত পাঁচ বছর ধরে এই ক্ষিরতলার আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম নিঃসন্দেহে বৈচিত্র্যময়। তবে, ক্ষিরতলার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গ্রামটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পরিত্যক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষ অর্থাৎ প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। অন্যদিকে, গ্রামটি মূলত বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত। মাহাতো, শিং, পাহান, সাঁওতাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষিরতলায় বাস করে আসছেন যেটাকে আমরা ‘বর্তমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ বলছি।

আমাদের গ্রামগুলোতে একইসাথে প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য এবং নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যতা পাওয়া কিছুটা দুষ্কর। এক্ষেত্রে, ক্ষিরতলার মৌলিক বিশেষত্ত্ব রয়েছে। গ্রামটির একপাশে রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন নগর পুন্ড্রনগর এবং অন্যপাশে রয়েছে সর্ববৃহৎ নবরত্ন মন্দির হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির। পাশাপাশি পরিবৈশিকভাবে করতোয়া এবং বাঙালি নদীর তীরবর্তী স্থানে এই তিনটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবস্থান। যদিও, ক্ষিরতলা গ্রামের করতোয়া নদীর শাখাটি বর্তমানে মৃত, স্থানীয়ভাবে যেটাকে মরা করতোয়া বলা হয়ে থাকে।

প্রায় পাঁচ বছরব্যাপী পরিচালিত অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা এখন পর্যন্ত ক্ষিরতলায় চৌদ্দটি প্রত্নস্থল শনাক্ত করেছি। এরমধ্যে একটি প্রত্নস্থল ‘বিরাট রাজার ঢিবি’ নামে পরিচিত। শুধু এই প্রত্নস্থলটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত। এটি মূলত একটি বড় ঢিবি, যার অভ্যন্তরে প্রাচীন ইট দ্বারা নির্মিত কাঠামো এখনও দৃশ্যমান। এ ছাড়া, অন্যান্য প্রত্নস্থলগুলোর বেশিরভাগই ইতোমধ্যে ধ্বংসের সম্মুখীন। প্রত্নস্থলগুলো থেকে ইট, মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির ফলক পাওয়া গেছে। প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক আবুল কালাম মো. জাকারিয়া ‘বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ’ গ্রন্থে ক্ষিরতলায় পঞ্চাশটি ঢিবির কথা উল্লেখ করেছেন (১৯৬০)।

মহাস্থানগড়ের গবেষিত প্রত্নস্থলগুলোর জিআইএস মানচিত্র। ছবি : সৌজন্য

যেহেতু, আমরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে কাজ করছি, তাই প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের পাশাপাশি স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করেছি। ঐতিহ্যবাহী কারাম, সহরায়, ফাগুয়া উৎসব ছাড়াও ক্ষিরতলার আদিবাসীদের রয়েছে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখনও আদিবাসীরা নানা ধরনের পার্বণের মধ্যে দিয়ে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন। উল্লেখ্য, আমাদের গবেষণা টিমের সাথে স্থানীয় আদিবাসীদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে আমরা প্রায়ই গবেষণা চলাকালীন আদিবাসীদের বাড়িতেই রাত্রিযাপন করি।

আদিবাসীদের মধ্যে আদি কিংবা স্থানিক জ্ঞানচর্চার বিষয়গুলোও আমাদের গবেষণায় উৎসাহী করেছে। বর্তমান বাংলাদেশে শিশুজন্মদানের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান পদ্ধতির ব্যাপক প্রয়োগ থাকলেও বেশকিছু আদিবাসী নারী প্রথাগত পদ্ধতি অনুসরণ করে শিশুজন্মদান করে থাকেন। এক্ষেত্রে, স্থানীয় ধাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এবং কার্যকর পদ্ধতি বিশেষত প্রসূতিকে শুয়ে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে বসে, হাঁটুগেড়ে কিংবা দাঁড়িয়েও শিশুজন্মদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বর্তমান পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

ক্ষিরতলার আদিবাসীদের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো বৃক্ষকেন্দ্রিক পার্বণ, বিশেষ করে কারাম গাছকে কেন্দ্র করে তাদের যে উৎসব প্রচলিত সেটির একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়াও গোয়ালপুজা, পুষনা উৎসব, ঝুমুর নাচ নামক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পালন করে থাকে ক্ষিরতলার আদিবাসীরা।

প্রতিটি আদিবাসীর রয়েছে ভাষাগত বৈচিত্র্যতা। কয়েক দশক আগে যদিও এক গোত্রের সাথে অন্য গোত্রের বিয়ে হতো না। তবে, ইদানীংকালে সেটির পরিবর্তন ঘটেছে। সবচেয়ে বড় সংকট হলো আদিবাসীরা বেশিরভাগই অত্যন্ত দরিদ্র। যদিও, পুরুষের পাশাপাশি আদিবাসী নারীরা কৃষিজমিতে কাজ করে থাকেন। তথাপি, তাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার কম থাকার কারণে তাদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ কম। অনেক নারী বাসায় গৃহপালিত পশুপালন করেন। কিন্তু, সমস্যা হলো ‘যৌতুক প্রথা’। আমরা বয়স্ক আদিবাসীদের সাথে কথা বলে জেনেছি কয়েক দশক আগে বিয়ের সময় কনেকে ‘কনেপণ’ দিতে হতো। কিন্তু, বর্তমানে কনেপণের পরিবর্তে বরকে অনেক টাকার অর্থ এবং সাথে অন্যান্য উপকরণ যৌতুক হিসেবে দিতে হয়। ফলে, নারীরা কর্মঠ হলেও পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদী আচরণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

আর একটি সংকট হলো, এরশাদ সরকারের আমলে নব্বইয়ের দশকে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কারণে আদিবাসী পল্লীতে মূলধারার জনগোষ্ঠীকে আশ্র‍য় দেয়া হয়েছিল। ফলে, আদবাসীদের আচার-অনুষ্ঠানের অনেক কিছুই তারা এখন আর পালন করতে পারেন না। যেমন : উৎসবে ‘হাড়িয়া’ নামক যে পানীয় পান করার প্রচলন ছিল সামাজিক আগ্রাসনের কারণে সেটি পান করতে তারা কিছুটা বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পর্যটনশিল্পের বিকাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও এখন পর্যন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার জন্য টেকশই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়নি। অথচ ক্ষিরতলার মতো আরও অনেক বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী গ্রাম রয়েছে যেগুলোকে ঘিরে বৃহৎ পরিসরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে যাতায়াতের উপযোগী করে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে এই দেশটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারবে। তবে, এজন্য প্রয়োজন গভীরতর গবেষণা। যেহেতু, বাংলাদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে পরিচিত। তাই, পর্যটনশিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকটি আমাদের কৃষ্টিতে বিদ্যমান। শুধু, সামগ্রিক সচেতনতা, নিরাপত্তা এবং টেকশই পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে একদিকে গবেষণার পরিধি বিস্তৃত হবে এবং অন্যদিকে পর্যটনের মাধ্যমে আর্থিক উপার্জনের নতুন পথ উন্মোচিত হবে।

স্থানীয় ভ্যানচালক আবু বকর ও হাফিজের সাথে লেখক। ছবি : সৌজন্য

পরিমেয় এবং অপরিমেয় সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে গুরুত্বের সাথে দেখার আর একটি কারণ হলো, যেহেতু, ইতোমধ্যে আমরা সাফল্যের সাথে মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট লক্ষ্য পূরণে সমর্থ হয়েছি এবং বর্তমানে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকশই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের (এসডিজি) পথে হাঁটছি। তাই, এসডিজি অর্জন করতে হলে অবশ্যই দারিদ্র্যতা নিরসন ও নারী-পুরুষের সাম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষিরতলার আদিবাসী নারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ট্যুরিস্ট গাইডের সুযোগ করে দেওয়া, পর্যটক যেন স্বল্প খরচে স্থানীয়দের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারে সে ব্যবস্থা করা, স্থানীয় বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও পর্যটকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, যাতায়াতের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সর্বোপরি পর্যটনের নামে যেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হুমকীর সম্মুখীন না হয় সেদিকে মনোযোগ দিয়ে একটি টেকশই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত সারথি রিসার্চ গ্রান্টস লেকচারে আমার গবেষণায় এসব বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল আমার এই ধারণাটির প্রশংসা করেছেন এবং তাদের অনেকেই আমার সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, ক্ষিরতলার মতো বৈচিত্র্যময় গ্রামভিত্তিক টেকশই পর্যটনশিল্প গড়ে তোলার জন্য আমাদের নীতি-নির্ধারকরা দারিদ্রাতা নিরসনে এবং স্থানীয়দের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি কার্যকর ও টেকসই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটনশিল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

মো. রিফাত-উর-রহমান : চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি 

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা কারাগারে অপ-চিকিৎসার ফল : মির্জা আব্বাস

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিজিএমইএ’র উদ্যোগে দোয়া

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জে মাসুদুজ্জামানের উদ্যোগে দোয়া 

১৩ জনকে বাঁচিয়ে পানিতে তলিয়ে গেলেন হাসান, শেষ ফোনকলে ছিল মাকে দেখার ইচ্ছা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া চাইলেন ইশরাক

‘মা-ভাই-বোনকে প্লট দিতে খালা হাসিনাকে চাপ দেন টিউলিপ’

প্লট দুর্নীতি / শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন সোমবার

১০

বিএমইউ ‘ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১১

জাতির ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি : ব্যারিস্টার অসীম

১২

ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন

১৩

মশক নিধনে ৫৬ স্প্রেম্যানকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিল চসিক

১৪

চট্টগ্রামে মাস্টার ইন্সট্রাক্টর প্রশিক্ষণ, সড়ক নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ

১৫

জামায়াত বরাবরই বিএনপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে : কাজী আলাউদ্দিন

১৬

ব্রাকসু নির্বাচন / প্রথম দিনে ৭ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ, ছাত্রী হলে নেননি কেউ

১৭

বগুড়ায় হাসিনাসহ ২৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৮

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানি ভাতা দেবে : মাসুদ সাঈদী

১৯

৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারবেন প্রধান বিচারপতি

২০
X