রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখনো সিসিইউ সংবলিত কেবিনে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে কালবেলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ড বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নেত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি-অবনতি সব পর্যালোচনা করেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এখন দিনে দুই দফা বৈঠক করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন এবং সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। নতুনভাবে দু-একদিনের মধ্যে আবারও কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার রাতে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় গত ৮ জুলাই ভোরে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার সফলভাবে বসানো হয়। দুই দিন সিসিইউতে থাকার পর মেডিকেল বোর্ড সিসিইউর সব সুবিধা নিয়ে কেবিনে কয়েক দিন থেকে গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
মন্তব্য করুন