কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রশাসন থেকে হাসিনার অনুসারীদের সরানোর আহ্বান রিজভীর

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি : কালবেলা
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি : কালবেলা

পুলিশ-প্রশাসন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীদের সরানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ভূত এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই আহ্বান জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে জিপিও মোড় ঘুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে রিজভী বলেন, যারা শেখ হাসিনার অনুশাসনের দোসর তারা কীভাবে প্রশাসনের মূল জায়গায় টিকে থাকে? যারা বঞ্চিত ছিল তাদেরকে দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে না কেন? এখনো এক গভীর চক্রান্ত চলছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই- যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিন। কারণ শেখ হাসিনার ভূত, শেখ হাসিনার আত্মা এখনো তার সাজানো প্রশাসনের মধ্যে রয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন থেকে তার ভূতকে সরাতে হবে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আমাদের প্রতিবেশি দেশ তাদের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। কিন্তু এটা কি সম্ভব? সম্ভব নয়। এক দেশের কাছ থেকে জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি অন্য রাষ্ট্রের কাছে বন্দি হতে নয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এটা ছিল আন্তর্জাতিক একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মূল কী- সেটা জানতে না দিয়ে এটাকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল, যাতে বিএনপির বিশেষ করে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি এই গণআন্দোলনকে সংঘটিত করেছিলেন- তিনি ছিলেন শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের টার্গেট। এটা ছিল শেখ হাসিনা ও তাদের চক্রান্ত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জানতাম- জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মুল করার জন্য শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা এটা করেছিল।

বিক্ষোভ মিছিলে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, সাবেক ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক কায়সার প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শীত কবে নামতে পারে জানালেন বিশেষজ্ঞরা

জুবিনের মৃত্যুরহস্য, গ্রেপ্তার গায়কের ভাই

রাতে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে সাবাড়

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

প্রতি গাছে ৬০০ টাকা ব্যয়, ডিসির প্রকল্পে ‘নয়ছয়’!

অক্টোবরজুড়ে থাকতে পারে ভ্যাপসা গরমের দাপট

গাজা যুদ্ধবিরতিতে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে : ট্রাম্প

পুলিশের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনতাই, এসআইসহ আহত ২

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বিক্ষোভে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট

১০

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১১

০৯ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১২

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

১৩

শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য সোচ্চার হতে হবে : তাসলিমা আখতার

১৪

স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৫

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

১৬

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

১৭

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

১৮

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

১৯

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

২০
X