চিকিৎসক এবং চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর রুটিন করে আক্রমণের যে ঘটনা ঘটছে তা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ইসলাম।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডা. রফিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘আজ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিউতে ভর্তি মুমূর্ষু এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়েন যার ছবি ও ভিডিও আমাদের সবার বিবেককেই নাড়া দিয়েছে। চিকিৎসকরা রোগীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল, কিন্তু সেই আশ্রয়কে বারবার রোগী ও তার স্বজনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে একটি কুচক্রী মহল।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি সম্প্রতি আমরা দেখেছি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা মেডিকেল, মুগদা মেডিকেল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসক ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী-কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিধানের দাবি করার পরও এমন ঘটনা আসলে ডাক্তারদের নিরাপত্তা শঙ্কার আশংকাকে আরও তীব্র করে।
বিজ্ঞপ্তিতে ডা. রফিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিধান, যা অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই একটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল। কিন্তু, সেই দাবি পূরণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, যা চিকিৎসকদের মাঝে চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ধারাবাহিক আক্রমণের পিছনে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের দোসর জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। ভুলে গেলে চলবে না যে, ফ্যাসিস্ট প্রেতাত্মা স্বাস্থ্যবিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওঁত পেতে আছে। সুতরাং, চলমান এই সব হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিধান আজ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলোর একটা। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকদের ওপর এসব আক্রমণের বিচার করতে হবে, এর পিছনে লুকিয়ে থাকা কোনো ষড়যন্ত্র অথবা দুরভিসন্ধি খতিয়ে দেখতে হবে, না হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে তা কারও জন্যই মঙ্গল হবে না। আমি চিকিৎসকদের ওপর সব ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে চিকিৎসকদের উপর সব হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন