আন্দোলনে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবী ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে পল্লবী রূপনগর থানা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, নতুনদের ভিড়ে পুরাতনরা হারিয়ে যাচ্ছে- দলের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে এমন ধারণা হয়েছে। এটা সঠিক নয়। দলের যেসব নেতাকর্মী গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনে নিষ্পেষিত হয়েছেন, বহু মামলা-হামলা-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তবুও দলের আদর্শ থেকে পিছপা হননি- তাদেরকে পিছনে রাখার সুযোগ নেই। তাদেরকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল, জনসমর্থন নিয়ে বিএনপি সবসময় কাজ করে। সেই সমর্থনের জন্য অনেকেই নতুনভাবে আসবে। তবে শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া আমরা সকলকে সাদরে গ্রহণ করব, আওয়ামী লীগের কোনো স্থান বিএনপিতে নেই। এখন যেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নতুন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে, তাদের চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক বেশি গুরুদায়িত্ব রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের গত ১৭ বছরের জঞ্জাল এক মাসে পরিষ্কার করা কখনোই সম্ভব না। এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে একটি যৌক্তিক সময় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বহু আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের মাটিতে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে বাংলাদেশে।
রুপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাসের সভাপতি শহিদুল ইসলাম স্বপন, মহানগর উত্তর কৃষক দলের আহবায়ক আসজাদুল আরিশ ডল, উত্তর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দল মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মহসিন সিদ্দিকী রনি, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য এবিএমএ রাজ্জাক, মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, ডিএনসিসি ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল মেরাজ, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন অনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন