আন্দোলনে সরকার হটানো এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে নানা কর্মসূচিতে সোমবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া প্রমুখ নেতারা।
আরও পড়ুন : কোনো বেঈমান-মুনাফেককে ছাড় দেওয়া যাবে না : মেয়র তাপস
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেন, সরকারের তরফ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত বেশ ভালো খবর। কিন্তু এই আইন বাতিলের নাম করে যদি গণবিরোধী, বাক-স্বাধীনতার বিরুদ্ধের আর কোনো আইন আবারও পাস করার চেষ্টা করা হয়, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
দলটির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার করে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের গণতান্ত্রিক মানুষকে যুক্ত হয়ে এই আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলই শেষ কথা নয়। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে- আবারও যেন এই রকম গণবিরোধী আইন তৈরি না হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে এই রকম গণবিরোধী আইন বানানোর ক্ষমতাকাঠামো সংস্কার করতে হবে।
বিকেলে তোপখানা রোডের দলীয় কার্যালয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার রাষ্ট্র করবো সংস্কার’- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান আলোচক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, দেশে আজ সরকার বদলের কথা চলছে, সেই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার করার কথাও চলছে- এটাই আমাদের অর্জন। গত দুই বছর জনগণ রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলোকে সহজভাবে গ্রহণ করেছে এবং রাজপথে আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এজন্য দেশবাসীর প্রতি সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাই। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন।
এদিকে রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা-উপজেলা কমিটি ও বন্ধু সংগঠনগুলোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।
মন্তব্য করুন