বিরোধী দলগুলোর জনসম্পৃক্ত চলমান যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারকে বিদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগরের হোয়াইট হাউস হোটেলে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সরকারের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রের সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ অস্থির অবস্থায় জীবনযাপন করছে। স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে ভয়াবহ অসহনীয় পরিস্থিতিতে আছি আমরা। আমরা ’৭১ সালে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছিলাম। বর্তমানে সেটা তো দূরে থাক, দেশের জনগণ এখন ভোটটাও দিতে পারছে না। যে সংবিধান অনুযায়ী ভোট দেওয়ার কথা ছিল, সেই সংবিধানটাও তারা কেটে ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন করোনা দুর্যোগের সময় ঘরোয়া পরিবেশে যাত্রা শুরু করে। সংকটের সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের সাতটি ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্দেশ্য নিয়ে জন্ম হয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের।
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ সরকার বদলের কথা চলছে, সেই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার করার কথাও চলছে- এটাই আমাদের অর্জন। গত দুই বছরে জনগণ রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলোকে সহজভাবে গ্রহণ করেছে এবং রাজপথে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ নেতারা।
এ ছাড়া এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণফোরামের (মন্টু) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমিন, বাংলাদেশ ডিকনস্ট্রাকশন মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মহসিন রশীদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মন্তব্য করুন