একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চার ছেলে। তন্মধ্যে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদী মারা গেছেন। আরেক ছেলে শামীম সাঈদী ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা আছেন। মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর তিনি দেশে আসছেন বলে জানা যায়।
তার পরবর্তী দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী ও নাসিম সাইদী বর্তমানে দেশে আছেন। এর মধ্যে নাসিম সাইদী যুক্তরাজ্য প্রবাসী। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকায় এবং গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকেল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী।
পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন