বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষে খন্দকার মোশতাকের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেলেও তার মৃত্যুর কারণে সে নামটি বিচার শুরু হওয়ার আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকালে বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জিয়াউর রহমানের ভূমিকাও পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অনেক আগেই মৃত্যুর কারণে তাকে আসামি করা হয়নি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে ‘ফিরে দেখা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট’ একক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শনিবার বিকাল ৪টায় একক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিদেশি রাষ্ট্র, তাদের গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনীতিক ইত্যাদির ভূমিকা নিরূপণ করা। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনীতিক, রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তান এবং তাদের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, আইএসআই এবং চীনও বঙ্গবন্ধু হত্যা যড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল।’
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ঘটনাস্বরূপ প্রগতিশীলদের অনেক সময় তারা গুরুত্ব দেন না। তাদের ভালো কাজকে প্রশংসা করেন না। এমনকি কথাও বলেন না। কিন্তু অপরদিকে প্রতিক্রিয়াশীলদের যে কোনো কাজের প্রতি তাদের সরব থাকতে দেখা যায়। অধিকন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াশীলরাই তাদের কাজ দিয়ে প্রগতিশীলদের থেকে অনেক এগিয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইসড অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, গবেষক আশরাফুন নাহার। ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান।
মন্তব্য করুন