আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি দিয়েছেন। তার পুত্র তারেক রহমান ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়িত্বপালনকারী তাজউদ্দিনকে রাতের বেলা পাসপোর্ট করে ছদ্মনামে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে পাকিস্তানে সরিয়ে দিয়েছে। এরপরও তারেক রহমান কী প্রমাণ চান? আপনি যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাই সতর্ক হোন। যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষের উন্নয়ন অগ্রগতি শান্তি সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে চান; তাহলে বাংলার জনগণ রাজনৈতিকভাবে আপনাদের করব রচনা করবে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল দাবি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য আর বিএনপি নেতাদের বক্তব্য হয়ে গেছে, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না’। আপনাদের হাস্যকর বক্তব্য শুনে মানুষ আজকে ধিক্কার দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের আব্বাজান তারেক রহমান হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নানকে দিয়ে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। যে আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে হামলা করেছিলেন, এই গ্রেনেড কোথায় তৈরি হয়? পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার করে।
জিয়াউর রহমান যেমন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত হত্যাকারীদের জনতার রোষে বিশেষ বিমানে দেশত্যাগ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ওই খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি দিয়েছেন। বাপ ক্যা বেটা; আর তার পুত্র তারেক রহমান ২১ শে গ্রেনেড হামলার যে দায়িত্ব পালন করে মাওলানা তাজউদ্দিনকে রাতের বেলা পাসপোর্ট করে ছদ্মনামে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে পাকিস্তানে সরিয়ে দিয়েছেন। এরপরও তারেক রহমান প্রমাণ চান? আপনি যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? আরও প্রমাণ আছে। একুশে আগস্টের এক সপ্তাহ আগে ৫ নম্বরের সড়কে সূধাসদনের বাড়ির কাছে আপনার শ্বশুর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তার বাড়িতে ১১ জনের তো বোরকা মানুষ ঢুকেছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। এটি শুধু মহিলা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না; এই চ্যালেঞ্জ বাঙালি জাতির সাথে। এই উন্নয়ন এই অগ্রগতি চলবে না আবার সেই হাওয়া ভবন আসবে? আবার সেই বাংলাভাই আসবে না, আব্দুর রহমানরা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করবে?
বিএনপি যতই উসকানি দিক আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাব জানিয়ে তিনি বলেন, তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন সেই প্রার্থীকে নিয়ে জনগণের দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট ভিক্ষা করে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে হবে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে শবনম জাহান শিলা সঞ্চালনা করেন।
মন্তব্য করুন