ঢাকার একখান সিট ধইরা হাসিনার মতো ভোট ডাকাতির সেটআপ দিলে নগরবাসী আঙুল চুষবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সেটআপ দিবা আর নগরবাসী আঙুল চুষবে?
শনিবার (০৭ জুন) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রশ্ন করেন ইশরাক হোসেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ থেকে বহিরাগত উপদেষ্টা ও প্রশাসক মুক্ত করতে ঢাকা নগরবাসী ও ভোটারদের এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সময়ের অন্যতম বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সংশোধনী না করা পর্যন্ত এদের কালো থাবা থেকে দুই ঢাকা সিটি করপোরেশনকে মুক্ত করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চুড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সেটআপ দিবা, জনরোষে পড়ে নিজ জেলায় যাওয়ার সুযোগ নাই দেখে ঢাকার একখান সিট ধইরা হাসিনার মতো ভোট ডাকাতির সেটআপ দিবা, তাই করনের লেইগা নির্বাচন পিছায় দিবা, টেন্ডার/বদলি সহ হাসিনার লুটপাটের সাথে পাল্লা দিবা আর নগরবাসী আঙুল চুষবে না?
এর আগে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে ইশরাক হোসেন বলেন, ভাড়া করা বিদেশি সরকারের রাজনীতি আর চলবে না।
তিনি বলেন, আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি এটাই তাদের সমস্যা। এর সঙ্গে আরও অনেক কিছুর যোগসূত্র রয়েছে। অভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট বিএনপি মহাসমাবেশ করে জানিয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। অতীতে এটা হতে দেখেছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমি অপ্রিয় কিছু কথা বলতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির ওপর আমি আঙুল তুলব না। একটা গোষ্ঠী এই বিষয়ে কাজ করছে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা ১৭ বছর খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে, আমাদের পরিচয় গোপন না করে রাজপথে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের অনেক ভাই এতে শাহাদাতবরণ করেছে। আমরা সেই দল করি। আমরা অত্যন্ত সুসংগঠিত রয়েছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা ছয় ঘণ্টার নোটিশে, ১২ ঘণ্টার নোটিশে বা ২৪ ঘণ্টার নোটিশে দলের হাইকমান্ড আমাদের যে নির্দেশ দেবেন আমরা সেটা পালন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জোটকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিজেও মর্মাহত হলাম। ওনার মুখ থেকে এই ধরনের কথা আমরা আশা করি নাই। সবার আকাঙক্ষা ছিল, উনি একমাত্র ব্যক্তি যে সবার কাছে নিরপেক্ষ। সেই জায়গা থেকে কেন আজকের এই পরিবর্তন, সেটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
মন্তব্য করুন