কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো মুবিনের পাশে তারেক রহমান 

মুবিনের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার সময়। ছবি : সংগৃহীত
মুবিনের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার সময়। ছবি : সংগৃহীত

গত ১৮ জুলাই ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দৃষ্টি হারানো মুবিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (০৯ জুন) বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম মুবিনের গ্রামের বাড়ি গিয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা এবং আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন।

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দিতে গেলে পুলিশের গুলি তার বাম চোখের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান চোখের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এ সময় মুবিনকে উদ্ধার করে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং পরে বেসরকারি ভিশন আই হাসপাতালে তার একাধিক সার্জারি করা হয়েছে।

পিতৃহারা মুবিন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পেশায় একজন কম্পিউটার অপারেটর মুবিন। ভিশন আই হাসপাতালে তার চিকিৎসায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান না থাকায় বর্তমানে তিনি স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায়া সহযোগিতা চেয়েও তেমন কোনো সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টি মুবিন ও তার মা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।

বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। পরে তার নির্দেশে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম ছুটে যান মুবিনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তিনি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা এবং আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন। একইসঙ্গে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে মুবিনকে আশ্বস্ত করেন।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডা. মো. রফিকূল ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রায়ই দেখা যায়, আহতরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আন্দোলন করছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে আরও মানবিক ও যত্নবান হওয়া।

তিনি আরও বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছিল, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, সেই স্বপ্নকে ভঙ্গ করার হীনচক্রান্ত এখন দৃশ্যমান। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করার প্রক্রিয়া চলছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অথচ এখন সেই নির্বাচন নিয়েও গড়িমসি করা হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিয়ে এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত দুরভিসন্ধিমূলক। এপ্রিল মাস বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, তখন এসএসসি পরীক্ষা থাকে এসব বিবেচনায় বাংলাদেশে নির্বাচন সাধারণত শীতকালে হয়। সুতরাং, এই ধরনের একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকার যদি ডিসেম্বরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে, তা হবে শুভবুদ্ধির পরিচায়ক।

এসময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামের সাথে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রজ্ঞাপন জারি / আইসিটিতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অংশ নেয়া যাবে না নির্বাচনে

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

আজ দেশের সব শিল্পকলায় আবরার ফাহাদের প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

স্বর্ণের দাম আকাশছোঁয়া, আসল কারণ কী

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ-নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানা যাবে আজ

রাতে এই ৫ লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি সমস্যার সংকেত

তরুণ থাকতে সকালে গড়ে তুলুন এই ৫ অভ্যাস

ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সহায়তা নিয়ে মুখ খুলল রাশিয়া

সকালে খালি পেটে এক মুঠো কাঁচা ছোলার যত উপকার

১০

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১১

থানার সামনের দোকানে ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা

১২

সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

১৩

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৪

পলাশীতে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ উদ্বোধন আজ

১৫

ডিভিশনাল ম্যানেজার পদে চাকরি দিচ্ছে মিনিস্টার

১৬

মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৭

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮

১০ কিলোমিটার হেঁটে মাঠে যাওয়া রিয়ানের পাশে ডিসি

১৯

৭ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X