ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে আগামীতে ‘শক্তিশালী জাতীয় সংসদ’ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী দিনের পার্লামেন্টকে তারা (ইইউ) সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। তারা চায় বাংলাদেশের পার্লামেন্ট স্ট্রং, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং একটা সচিবালয় থাকবে যাতে পার্লামেন্টে পারফরমেন্সটা ভালো হয়। কারণ সংসদীয় গণতন্ত্রে জবাবদিহিতা থাকে। আমরা যে এতো সংস্কারের কথা বলছি আসলে পার্লামেন্টারি সিস্টেমের মধ্যে সব কিছু আছে।
এক ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন, উন্নয়ন, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী দিনে নির্বাচিত সরকারের উন্নয়নে সহযোগী হতে চায় ইইউ। তাদের শুধু যে অনুদান এবং ঋণ প্রদান এর বাইরেও তারা অন্যভাবে অর্থায়নের চিন্তা করছে। নতুন নতুন খাতে অর্থায়নের অনেক চিন্তা তাদের আছে। বাংলাদেশে গ্রিন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থায়নে যে অনেকগুলো দিক আছে যেটা আমরা বিগত দিনে করতে পারি নাই সেগুলো আগামী সরকার আসলে তারা করতে চাচ্ছে, সহযোগিতা করতে চাচ্ছে এবং আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তারা অংশীদার হতে চায়।
এটা খুবই ভালো লক্ষণ যে সাধারণ ঋণ এবং অনুদানের বাইরে গিয়ে তারা একটা নতুন পথ উন্মুক্ত করছে বাংলাদেশ সরকারকে এবং আমাদের বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা করার জন্য। তারা খুবই আগ্রহী আগামী দিনের উন্নয়নের জন্য।
তিনি বলেন, আমরাও ইইউ’র সহযোগিতা আশা করি। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাদের চিন্তাভাবনা বহুলাংশে মিল আছে। এটাতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রদূত অবশ্যই সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে এজন্য সবার তো একটা স্বস্তি আছে, সন্তুষ্টি আছে এবং আশা করছে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশটা গণতান্ত্রিক অর্ডারে ফিরে যাবে। কারণ তারাও তো অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচিত সরকারের প্রতি। এটার ওপরে নির্ভর করছে আগামী দিনে তাদের কর্মকাণ্ড কী হবে? স্বল্প মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি অনেক সিদ্ধান্ত আছে সেগুলো একটা নির্বাচনের সঙ্গে স্বস্তিবোধ করে।
বাংলাদেশে শ্রমিকদের সমস্যা, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইইউ সবসময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সেই বিষয়ে আলোচনা করেছে এবং শ্রমিকদের বিষয়ে বিএনপির ভাবনা কী তা জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনার বিষয়টি উঠে আসছে এবং বিচার বিভাগের সেক্রেটারিয়েট করার কথা আলাপে উঠে এসেছে যেটা বিএনপির আমরা নিজেরাই প্রস্তাব দিয়েছি বিচার বিভাগের নিজস্ব সচিবালয় থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে।
বিচার বিভাগকে যদি আমরা স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হয় তাদের নিজস্ব সচিবালয় থাকা দরকার। এই বিষয়টা তারা সমর্থন করে এবং তারা এই ব্যাপারে ফান্ডিং করতেও রাজি আছে। সেটা বোধহয় করছে অলরেডি।
মন্তব্য করুন