আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশে সংকট তৈরির নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, সবকিছু কানে না নিয়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সরকার, সংসদ কায়েম করা দরকার।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে ফারুক এ কথা বলেন। ২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলায় জড়িত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকারকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যখন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন, তখনই হত্যাকাণ্ড, তখনই এই বিব্রতকর অবস্থা। বাংলাদেশে সংকট তৈরি করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নাম উল্লেখ করতে চাই না; অনেকে বলেছেন ধানের শীষ দরকার নেই। শাপলা যদি না হয়, ধানের শীষও বাতিল করতে হবে। অনেকে আবার বলেছেন—বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে স্বাধীনতা সম্পূর্ণ অর্জিত হয়নি। আবার কেউ কেউ বলেছেন—পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন। অনেকে বলেছেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত, বিগত ১৮ বছরের সব বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যাবে না।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। কিন্তু হারুন-বিপ্লবদের বিরুদ্ধে যে মামলা আমি দায়ের করেছিলাম, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা কোথায় আছেন, কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, এ বিষয়ে জনগণকে জানাতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মিটফোর্ডের এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ব্লগার অভিজিৎকে যখন ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেনি। অন্যদিকে তারেক রহমান মিটফোর্ডের বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এখন খুঁজে বের করতে হবে, এই ঘটনার মূল হোতা কে?
জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রায় এক বছর হতে চলল। এখনো বাংলাদেশের যে অবস্থা, এ অবস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছুতেই সামাল দিতে পারছেন না। তাই দরকার নির্বাচন, নির্বাচিত সরকার।
সংগঠনের সভাপতি ও কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন