রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় সনদে জনআকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে : আ স ম রব

ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় কথা বলেন আ স ম আবদুর রব। ছবি : কালবেলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় কথা বলেন আ স ম আবদুর রব। ছবি : কালবেলা

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জাতীয় সনদ হতে হবে জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি। জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক সমঝোতার ফরমায়েশি দলিল হতে পারে না; এটি জনগণের রক্ত, ত্যাগ ও সংগ্রামের অমূল্য ফসল। তাই জাতীয় সনদ হতে হবে গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্বের অবিচ্ছেদ্য দলিল- যা জনগণের ক্ষমতা, মর্যাদা ও অধিকারকে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিকভাবে সুদৃঢ় করবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

রব বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে যেমন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের দর্শন স্থান পেয়েছিল; তেমনি স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর নতুন প্রেক্ষাপটে জাতীয় সনদেও সেই অভিপ্রায়ের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাতে হবে। অন্যথায় এটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, জাতীয় সনদ হবে এমন এক সামাজিক চুক্তি, যা জনগণকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের নিশ্চয়তা দেবে। জনগণকে বাদ দিয়ে, তাদের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে জাতীয় সনদ রচনা হলে তা টেকসই হবে না।

সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, জাতীয় সনদ কেবল একটি কাগজ নয়; এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং অংশগ্রহণকে বাদ দিয়ে রচনা করা হয়, তবে সনদ কখনো টেকসই হবে না। দেশের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে বিকশিত সমাজ শক্তিকে ক্ষমতার কেন্দ্রে রাখতে হবে। এটাই হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।

সভায় জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, ক্ষমতা কাঠামোতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ না দিলে কোনো কাঠামোই স্থায়ী হয় না। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে-রাষ্ট্রীয় সকল স্তরে নীতি নির্ধারণে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং বাস্তবায়নে সমাজের সকল অংশের জনগণের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা। এর নামই ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’। এটা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সভায় দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়া এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন-দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আনোয়ার হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, অ্যাডভোকেট মিয়া হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, আবদুল লতিফ খান, নুরুল আকতার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফাতেমা হেনা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মতিউর রহমান মতি, লোকমান হাকিম, অ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সাহা, আমির উদ্দিন মাস্টার, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাবুল, মোশারফ হোসেন মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবাদুল কবির মোহন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, আজম খান, মহুয়া কুদরত খোদা, ইলোরা খাতুন সোমা, বিপ্লব আজাদ, এইচ এম জাহাঙ্গীর, শাহাদাত হোসেন খোকন প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে তামাকের বিরুদ্ধে ‘ইয়ুথ মার্চ’

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

ত্রিবার্ষিক সম্মেলন / আবারো জামালপুর জেলা বিএনপির নেতৃত্বে শামীম-মামুন

দাবি আদায় ছাড়া ঘরে না ফেরার ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীর

লিডসের বিরুদ্ধে আর্সেনালের গোল উৎসব

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

১০

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

১১

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

১২

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

১৩

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

১৪

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৫

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : সোহেল

১৬

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১৭

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৮

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

১৯

তিন দিনের মধ্যে সাদাপাথর ফেরত না দিলে ব্যবস্থা

২০
X