রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পুলিশের অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জামায়াত কর্মীসহ অর্ধশতাধিক নিরীহ পথচারীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জুলুম-নিপীড়নে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজ সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিনা উসকানিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পুলিশ অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এক ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারণা করে এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জামায়াত-শিবির কর্মীসহ অর্ধশতাধিক নিরীহ পথচারীকে গ্রেপ্তার করে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বুলবুল বলেন, সরকার গত ১৫ বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে, এটা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং-মিছিল ও সমাবেশ করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতের কোনো স্বৈরাচারী জালেম সরকার যেমন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জুলুম-নিপীড়ন যত বৃদ্ধি পাবে নেতৃবৃন্দের মুক্তি, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন তত বেগবান হবে ইনশাআল্লাহ। গণতন্ত্র হরণকারী এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি ঢাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন