আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপির চেয়ারম্যান শাহ্সূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তার আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার দীক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবীজুড়ে চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।
১২ রবিউল আউয়াল ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) জশনে জুলুস র্যালিপরবর্তী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে লাখো নবীপ্রেমী সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে জাঁকজমকভাবে জশনে জুলুস র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার পশ্চিম গেইট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন শাহ্সূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।
ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ সুফিবাদী জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। এইবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ১৫০০ বর্ষপূর্তিতে মানুষের মধ্যে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা।
র্যালির অগ্রভাগে বড় অক্ষরে লেখা ছিল ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীরা কলেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে রাজধানীর রাস্তাঘাট মুখরিত করে তোলেন। চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে নারায়ে তাকবির ও নারায়ে রিসালতের স্লোগান। শান্তি সমাবেশে নারীদেরও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
শান্তি সমাবেশে বিএসপি চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী আরও বলেন, আমাদের উচিত ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর পবিত্র বার্তা হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা প্রয়োগ করা। তবেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।
পীরজাদা মুফতী মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল-আযহারীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি ও আলোচক ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর মহাসচিব আল্লামা প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আ.ন.ম মাসউদ হোসাইন আল কাদেরী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মাওলানা গিয়াস্ উদ্দিন আত-তাহেরী, বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব ও বিএসপির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী মো. মহসীন চৌধুরী, গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, বিএসপির ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার কেন্দ্রীয় সহসভাপিত মো. কবির চৌধুরী, মহাসচিব মো. আলমগীর খান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন