বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দারসুল কোরআনের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
বৈঠকে সেপ্টেম্বর মাসের রিপোর্ট পর্যালোচনা ও অক্টোবর মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সভায় সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের ব্যক্তিগত ও বিভাগীয় রিপোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক শাখাসমূহের রিপোর্ট, ক্যাম্পাস পরিস্থিতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ এবং আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণসহ বিভিন্ন এজেন্ডা আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সৎ, দক্ষ দেশপ্রেমিক করে গড়ে তুলতে হবে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদ ও দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্যাম্পাসে অভূতপূর্ব বিজয় দান করেছেন। এ বিজয়ে উল্লসিত হয়ে অহংকার করা যাবে না, বরং আমাদের উচিত বেশি বেশি হামদ, তাসবিহ ও ইস্তেগফার পড়া। মনে রাখবেন, যে কোনো অর্জনে আমরা যত বেশি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবো, আল্লাহ তত বেশি নেয়ামত বৃদ্ধি করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগত আমল ও অধ্যয়নে আরও মনোযোগী হতে হবে, যাতে মহান আল্লাহ আমাদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথচলাকে সহজ ও সুগম করে দেন। কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য নিয়মিত কোরআন অধ্যয়নকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। কথাবার্তা ও আচরণে হতে হবে সতর্ক, ব্যবহারে হতে হবে অমায়িক ও উদার। তবে আদর্শের প্রশ্নে কোনো অবস্থাতেই আপস কিংবা হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানবজাতির প্রকৃত পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)। তাঁর জীবনীতেই রয়েছে আমাদের জন্য সর্বোত্তম দিকনির্দেশনা। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজীর সীরাতের শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে।
বৈঠকে অক্টোবর মাসকে ‘কর্মী গঠনের মাস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিয়মিত প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচির পাশাপাশি ৬ অক্টোবর শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নিপীড়ন বিরোধী দিবস’ এবং ২৮ অক্টোবর ‘পল্টন ট্রাজেডি দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও রিডিং মুভমেন্ট, ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম, প্রকাশনা উৎসবসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরিশেষে পারস্পরিক এহতেসাব ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে বৈঠক সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন