তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর একদফা আন্দোলন চলমান। অন্যদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। কিন্তু সরকার সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে অনড়। সব মিলিয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে দেশ, এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। তারা বলছেন, সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারেই অস্পষ্ট ও ঘোলাটে। আদৌ নির্বাচন হবে কিনা, নাকি রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিরোধী দল দাবি আদায় করবে এরকম কোনো তথ্য নেই কারো কাছেই। তাই আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কেউ মতামত দেননি। তবে আগামীর অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের পক্ষ থেকে যে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে। তার একক সিদ্ধান্ত সবাই মেনে চলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দলের বনানী কার্যালয়ে এ যৌথসভা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। শুরুতে দলেরর চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আগামী নির্বাচন নিয়ে করণীয় সম্পর্কে সবার মতামত চান। বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী বক্তব্য দিলেও আগামী দিনে দলের করণীয় ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কেউ কথা বলেননি।
দলের বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, বৈঠকে সবার বক্তব্য দেয়ার সুযোগ থাকলেও রাজনৈতিক কারণে কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করতে হলে কেউ ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে বিরাগভাজন হতে চাননি। আবার বিএনপির বিরুদ্ধেও কেউ কথা বলেননি। জাপা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলেও এই দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে মুখ খুলেননি কেউ।
সভায় রাজনৈতিক সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলের প্রধান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় কর্মী সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে এই সভায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ.টি.ইউ.তাজ রহমান, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লে. জোনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন