বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল রাজনীতিতে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে গোটা দেশবাসীর মনে ভয়-আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে সংবিধানের আলোকে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো জরুরি এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান রওশন। ২৮ অক্টোবরকে সামনে রেখে তারা রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে জনমনে আতঙ্কের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে রওশন বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক চর্চা ও কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু যে ধরনের কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, সে ধরনের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকা উচিত। এক পক্ষের স্বাধীনতা দিয়ে, অন্য পক্ষের স্বাধীনতাকে খর্ব করা যায় না। কারণ, সাধারণ জনগণেরও অধিকার আছে স্বাধীনভাবে চলাচল ও কাজ-কর্ম করার।
জাতীয় পার্টির প্রধান এই পৃষ্ঠপোষক বলেন, ২৮ অক্টোবর দুটি রাজনৈতিক দল এবং একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন রাজধানী ঢাকায় জনগণের চলাচলের প্রধান সড়কে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এর ফলে গোটা ঢাকা শহর অচল হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংঘাত-হানাহানি ও প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। এতে করে রাজধানীবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে। সুতরাং এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রওশন এরশাদ।
ঢাকা শহরে সভা-সমাবেশ করার মতো অসংখ্য মাঠ-ময়দান ও উদ্যান রয়েছে উল্লেখ করে এরশাদের স্ত্রী বলেন, মাঠ-মায়দানেই রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করা সম্ভব। তাই রাজনৈতিক দলগুলো যাতে মাঠে-ময়দানে কিংবা উপযুক্ত উন্মুক্ত স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা। একই সঙ্গে সংবিধানের আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান বিরোধ এবং রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সব দল ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন