কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশ-সাংবাদিক ও বিচার বিভাগ বিএনপি-জামায়াতের পুরোনো শত্রু : শেখ পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। ছবি : সংগৃহীত
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ-সাংবাদিক ও বিচার বিভাগ বিএনপি-জামায়াতের পুরোনো শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে সকাল ১১টায় ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, গতকাল কেউ কেউ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা রাজপথে ছিলাম; কেউ কেউ নিজের পেশাগত কাজে কালকে রাজপথে বেড়িয়েছিল। আমরা সবাই রাতে নিজ নিজ বাসায় ফিরেছি। শুধু আমাদের পুলিশ ভাই বাসায় ফিরতে পারেন নাই; ফিরতে পারেন নাই তার পরিবারের কাছে। বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। গতকালকের ঘটনার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের পুরোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বের হয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, তারা যখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিল তখনো তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সারা বিশ্ব তাদের চিনেছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে, এমনকি দুর্নীতিতে তারা ৫ বার চ্যাম্পিয়ন ছিল। বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব প্রকাশ করেছে। পুলিশ বাহিনী, সাংবাদিক এবং বিচার বিভাগ তাদের পুরোনো শত্রু। সাংবাদিকদের তারা টার্গেট করে কারণ, সাংবাদিকরা জনগণের সাথে রাজনীতিবিদদের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের সাধারণ জনগণের মুখপাত্র। তাই তারা বারবার সাংবাদিকদের ওপর আঘাত হানে। বর্তমান পুলিশ বাহিনী তাদের চোখের শুল। কারণ তারা পুলিশ বাহিনীকে কোথায় রেখে গিয়েছিল কিন্তু আজকের পুলিশ বাহিনী গর্বের সাথে এ দেশের জঙ্গিবাদ নির্মূল করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। তারা একটা জঙ্গি রাষ্ট্র রেখে গিয়েছিল। আজকে সেই জঙ্গিবাদ এই দেশ থেকে প্রায় চিরতরে নির্মূল। বাংলাদেশের মানুষ, শিশুরা নিরাপদে বাসায় ঘুমাতে পারে। পুলিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিএনপি-জামায়াত বারবার পুলিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। আর বিচার বিভাগকে আঘাত করা তাদের পুরোনো চরিত্র। আমরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ভুলে যাইনি। সেই সিরিজ বোমা হামলায় তারা কিন্তু প্রেস ক্লাব এবং বিচারালয়েও টার্গেট করেছিল। বিচারালয়ে তারা বোমাবাজি করে যেন বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের রায় তারা দিতে না পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি মানে ’৭৫ এর খুনি, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, গ্রেনেড হামলাকারী, সিরিজ বোমা হামলাকারী সংগঠন। বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি মানেই পুলিশ হত্যা, সাধারণ মানুষ হত্যা, বাড়িঘর পুড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা। এটাই তো তাদের চরিত্র। আমরা বারবার বলেছি, বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা যুবলীগ থেকে দাবি তুলেছিলাম বিএনপির রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার জন্য। যদি যুবলীগের দাবি পূরণ হতো তাহলে আমাদের পুলিশ ভাই মারা যেত না। কাকরাইলের মসজিদে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ হতো না, বিচারপতির বাসভবনে হামলা হতো না, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হতো না, তারা অসংখ্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে পারত না। সুতরাং বিএনপির চরিত্রই হলো মানুষ খুন, দেশকে ধ্বংস করা। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের কোথাও নামতে দেওয়া যাবে না। যেখানেই বিএনপি-জামায়াত সেখানেই যুবলীগ তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপকৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপমুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছুটি শেষে রাকসুর প্রচার শুরু, রয়ে গেছে শঙ্কা

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২৬৮ কোটি ডলার

অনেক উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের কথা ভেবে রেখেছেন : নাহিদ

নতুন সংকট তৈরি হলে আরও একটা গণঅভ্যুত্থান হবে : মঞ্জু

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

তাহিরপুরে বালু মহালের জায়গা নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন

সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না : বাঁধন

চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত : আলী রীয়াজ

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষকদের

১০

পে-কমিশনের সভায় দাবি উত্থাপিত না হওয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের ক্ষোভ

১১

জাল টাকায় ফোন কিনে যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

১২

কোরআন অবমাননা ইস্যুতে হেফাজতের লংমার্চের হুঁশিয়ারি

১৩

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন হলো টেকনোর পোভা ফাইভজি সিরিজ

১৪

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোর প্রতিনিধিত্ব করছেন ড. সবুর খান

১৫

কোরআন অবমাননা, যা বলছেন আজহারি

১৬

তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে পদযাত্রা

১৭

ধানমন্ডিতে দরজা ভেঙে মিলল বিএনপি নেতার মরদেহ

১৮

যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের

১৯

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

২০
X