কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোনো উচ্ছ্বাস-আগ্রহ নেই : মঈন খান

ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি : সংগৃহীত
ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপিবিহীন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস কিংবা আগ্রহ নেই বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি। মঈন খান বলেন, ৩০ নভেম্বর-পরবর্তী রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বাস্তবতাকে উন্মোচিত করতে গেলে যে কঠিন সত্যিটি উল্লেখ করতে হচ্ছে তা হলো, সরকার মনোনয়ন জমা দেবার দিনটিকে তাদের নির্বাচনে বিজয়ের দিন বলে আনন্দ-উল্লাস করছে। এটা যে তাদের জন্য কত বড় ভ্রান্তিবিলাস তা তারা আজ বুঝতে পারছেন না। এ ভুলের জন্য জনতার আদালতে আওয়ামী লীগকে আগামীতে যে বিশাল মূল্য দিতে হতে পারে- সেটা তারা আজ কল্পনাও করতে পারছেন না। ক্ষমতার মোহে ও অর্থবিত্ত আহরণের লোভে অন্ধ হয়ে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গেছেন, যা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়- পুরো জাতির জন্যই অচিরে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকারকে চিরতরে হরণ করার সরকারের এই যে কাণ্ডজ্ঞানহীন চিন্তাধারা যা বাংলাদেশকে ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী সার্কাসের দিকে ধাবিত করছে। সেটা আজ শুধু দেশের ভেতরে নয়- বরঞ্চ সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মননশীল মানুষের সামনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি কলঙ্কময় ভাবচিত্র প্রতিস্থাপন করবে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উচ্ছ্বাস কিংবা আগ্রহ কোনোটাই নেই। এটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে, নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে কোনোরূপ ভোট দেবার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেছে। কারণ নির্বাচনের ফল ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে, মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাবার প্রয়োজন বাংলাদেশে চিরতরে ফুরিয়ে গেছে। ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে এই যে নির্বাচন নির্বাচন খেলা, সেটির পরিণাম কখনোই জাতির জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না।

মঈন খান বলেন, বিএনপি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য, জনগণের ভোটাধিকার পুনর্বহালের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলন চলতেই থাকবে, যতদিন না গণমানুষের এই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পাতানো নির্বাচনের তপশিল বর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল, সরকার তা আমলেই নেয়নি। ফলে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, নির্বাচনের নামে এখানে কত বড় প্রহসন হতে যাচ্ছে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ দেশে জনগণের আন্দোলন কখনোই বৃথা যায়নি, এবারও যাবে না। সরকার মনে করেছে, আগের মতো এবারও একতরফা একটি নির্বাচন করে স্বাচ্ছন্দ্যে ক্ষমতায় থাকবে- সেটা হবার নয়। কেননা, এখন ২০১৪ বা ২০১৮ নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াতের এক নেতা বহিষ্কার

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগ কর্মী আটক

ইডেনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জার্নালের মোড়ক উন্মোচন

ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

তারেক রহমানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতার সুযোগ পাবেন যে ১০ জন

‘স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আড়াল করা হয়েছিল’

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির বিশেষ নির্দেশনা

মনোনয়ন না পেয়ে এবি পার্টিতে যোগ দিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা

‘হাওয়া’র পর সুমনের ‘রইদ’

১০

সিলেটে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

১১

হাদির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যা জানা গেল 

১২

আইপিএল নিলামে দল পেলেন না তাসকিন

১৩

ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

১৪

পালাতে গিয়ে মেরুদণ্ড ভাঙলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী

১৫

জনসংখ্যা বাড়াতে ইন্টারনেট-বিদ্যুৎ বন্ধ রাখবে যে দেশ

১৬

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান ও আত্মত্যাগ

১৭

বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

১৮

মস্কোয় কেমন আছেন বাশার আল আসাদ

১৯

ভারতে ট্রাফিক আইন ভেঙে রাস্তায় নারী কনস্টেবলের নাচ

২০
X