প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে তিন মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমের ওপরে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করার পরও কোনো রকম অঘটন না ঘটিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। আমি বলেছি, আমিরের হুকুম ছাড়া কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি।
রেজাউল করীম বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার অবৈধ। দিনের ভোট রাতে বক্সে ভরে তারা ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। জনগণের জানমাল ইজ্জত অক্ষুণ্ন রেখে আমরা আন্দোলন করব। আমরা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করার জন্য কাজ করে যাব।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা সভা করেছি। এখানে সবাই একমত হয়েছেন যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। এই দাবি আদায়ে আমরা আমাদের অবস্থানে থেকে আন্দোলন করব, ইনশাআল্লাহ।
আলোচনা সভায় চরমোনাই পীর কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বলেন, অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
এই দাবিতে আগামী ১৫ জুলাই ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৬ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত থানা ও জেলায় তৃণমূল প্রতিনিধি সমাবেশ এবং সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী সব জেলা ও মহানগরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও মাওলানা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন