সরকার তাদের সিন্ডিকেটের জন্য নতুন লুটপাটের সুযোগ তৈরি করতে আবারও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাদের দাবি, রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সিন্ডিকেটও তৎপর হচ্ছে নতুন লুটপাটের আয়োজন করতে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ কথা বলেন তারা। গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি হামলা এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি হয়।
নেতারা বলেন, কোনো হামলা-মামলাই ডামি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং তাদের লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ যে গণরায় দিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে অচিরেই নতুন গণআন্দোলন গড়ে উঠবে এবং তাদেরকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে যারা সিন্ডিকেটের কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি, তারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আবারও ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। ‘ছয় মাস পর সিন্ডিকেট থাকবে না’- এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত সিন্ডিকেটের রাজত্বকেই প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মানুষের জীবনের নাভিশ্বাস তোলার বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আর তীব্রতর হবে। তারা অবিলম্বে নির্বাচন বাতিলপূর্বক সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের সাথে আলোচনা করে নতুন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে আন্দোলন জোরদার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে নেতারা বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তারা দায়ী সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এস শামসুল আলম নিক্সন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন