লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক অভিভাবক, শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদদেরও তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন দেওয়া উচিত।
সোমবার (১ এপ্রিল) তিনি এক বিবৃতিতে এ সমর্থন জানান।
কর্নেল অলি বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্রদের দাবির প্রতি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির পক্ষ থেকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে, আমরা আপনাদের তাদের পাশে আছি। কারণ আমরা গুণ্ডারাজের অবসান ঘটিয়ে মেধা এবং সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, দেশের হাইস্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানচর্চা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুগোপযোগী করে তোলার উৎকৃষ্ট স্থান। নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক পেছনে পড়ে আছি। এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারত আমাদের থেকে বহুগুণে এগিয়ে আছে। মালয়েশিয়ার মতো দেশও এগিয়ে আছে। আমাদের পেছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, যারা দেশ পরিচালনা করে, তাদের দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং জ্ঞানের অভাব। বিভিন্ন দিক থেকে আমরা বহু পেছনে আছি। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় রাজনীতি হয় না। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতিতে জড়িত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে আসছি এবং চাঁদাবাজি ও মাস্তানির কারখানায় পরিণত করছি। এর জন্য দায়ী রাজনীতিবিদরা এবং অভিভাবকরা।
মন্তব্য করুন