‘প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে উন্নয়নের রঙিন ফানুস বলে অভিহিত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, জনগণের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। তাহলেই কেবল দেশের রাজনৈতিক সংকট দূরীভূত হবে। সরকারি সম্পদ লুটপাট ও পাচার বন্ধ হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সদ্য ঘোষিত বাজেটকে বে-নজির হিসেবে উল্লেখ করে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা থাকার সুযোগ থাকবে। অবৈধ সম্পদ আহরণকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বেনজীর-আজিজদের আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বাঁচিয়ে দেওয়ার কৌশল রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। সম্প্রতি অভিভাবকদের বক্তব্য, যে সরকার ৫ কোটি শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে পুতুল খেলা খেলছে। অভিভাবকগণ এ কারিকুলাম বাতিলের দাবির প্রতি আমরা সমর্থন জানাচ্ছি এবং দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বোধ-বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সামনে রেখে কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ঘোষিত বাজেটে জনগণের উপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়্গ বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে দ্রব্যমূল্যের বাজার। এতে সাধারণ মানুষ চরম হিমশিম খাচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে এনে জনকল্যাণে ব্যয় করলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। কোরবানির চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হবে এবং এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষের প্রতি ইনসাফ রক্ষার দাবি জানান তিনি।
মন্তব্য করুন