শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বড়দিনের বর্ণিল সাজে ইতালি

বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতিতে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। ছবি : কালবেলা
বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতিতে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। ছবি : কালবেলা

খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। দেশটির ছোট-বড় প্রতিটি শহর, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বর্ণিল সাজে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি।

ইতালির রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিস খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান ভ্যাটিক্যান সিটিতে আলোকসজ্জাসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার বাইরে সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ আনুষঙ্গিক আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছেন খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা। দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে এ দিনটি বেছে নেবেন। সান্তা ক্লজ শিশুদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দে ভরিয়ে তুলবেন দিনটি।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভেনিস-ভিছেন্সার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গির্জার সজ্জায় ব্যস্ত রয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। রংতুলির আঁচড়ে গীর্জার আশপাশে ঘরবাড়ির দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা চিত্রকর্ম। ফুল, বেলুন ও আলোকসজ্জায় রাঙানো হচ্ছে উপাসনালয়।

পথে ঘাটে বড়দিন উপলক্ষে বসছে অস্থায়ী মেলা ও দোকান। এসব মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ক্রিসমাস সামগ্রী, ঐতিহ্যবাহী রকমারি খাবার, চকলেট, ক্যান্ডি, শীতের পোশাক এবং পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। অস্থায়ী দোকান ও মেলায় স্থানীয়দের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

আভা নামে স্থানীয় এক খ্রিষ্টান নারী বলেন, এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বড় দিনের উৎসবকে ঘিরে বাড়ির সাজসজ্জায় ব্যস্ত তিনি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে পরিবারের জন্য তৈরি করছেন বিশেষ সব খাবার।

খ্রিষ্ট প্রথম শতাব্দী থেকে বড় দিনের উৎসবের ইতিহাস ইতালির সঙ্গে মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বড়দিনের উৎসব উদ্দীপনা যা দেশটির কৃষ্টি, দর্শন ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিপূরক হিসেবে মিশে আছে। সেই সঙ্গে বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য।

পৃথিবীর প্রায় সবদেশে বড়দিনের উৎসব আনন্দের প্রভাব পড়ে। কেবল এই একটিমাত্র উৎসবে সরকারিভাবে ছুটি থাকে সমগ্র পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশে। তাই বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতালিতে ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় সাফল্য

সাবেক এমপি বুলবুলের পিএস সিকদার লিটন গ্রেপ্তার

টাকা না পেয়ে ফুপুকে গলাকেটে হত্যা করল ভাতিজা

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য বিশেষ কোটা বাতিল 

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ছাত্রদলের ঊর্মি

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের মায়ের মৃত্যুতে প্রেস ক্লাবের শোক

প্রকৌশলীদের মর্যাদা রক্ষায় আইইবি’র ৫ দফা দাবি

পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লিগপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত, রিয়াল-বার্সার প্রতিপক্ষ কারা?

১০

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ভিডিওটি ভুয়া

১১

আজীবন থাকা, কাজ ও ব্যবসার সুযোগ দেবে সৌদি, কত টাকা লাগবে

১২

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১৩

এবার যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের 

১৪

ফিফা কোয়ালিফায়ারে শেষবারের মতো নামছেন মেসি, জানালেন নিজেই

১৫

অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে রেখে স্বাস্থ্যকর্মীর টিকটক, অতঃপর...

১৬

গকসু নির্বাচন : রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়ন বিতরণ 

১৭

চট্টগ্রামে হবে আইইসিসি মাল্টিডেস্টিনেশন এডুকেশন এক্সপো 

১৮

চব্বিশের বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ : কাদের সিদ্দিকী

১৯

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০
X