ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বড়দিনের বর্ণিল সাজে ইতালি

বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতিতে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। ছবি : কালবেলা
বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতিতে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। ছবি : কালবেলা

খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি। দেশটির ছোট-বড় প্রতিটি শহর, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বর্ণিল সাজে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি।

ইতালির রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিস খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান ভ্যাটিক্যান সিটিতে আলোকসজ্জাসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার বাইরে সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ আনুষঙ্গিক আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছেন খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা। দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে এ দিনটি বেছে নেবেন। সান্তা ক্লজ শিশুদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দে ভরিয়ে তুলবেন দিনটি।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভেনিস-ভিছেন্সার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গির্জার সজ্জায় ব্যস্ত রয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। রংতুলির আঁচড়ে গীর্জার আশপাশে ঘরবাড়ির দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা চিত্রকর্ম। ফুল, বেলুন ও আলোকসজ্জায় রাঙানো হচ্ছে উপাসনালয়।

পথে ঘাটে বড়দিন উপলক্ষে বসছে অস্থায়ী মেলা ও দোকান। এসব মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ক্রিসমাস সামগ্রী, ঐতিহ্যবাহী রকমারি খাবার, চকলেট, ক্যান্ডি, শীতের পোশাক এবং পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। অস্থায়ী দোকান ও মেলায় স্থানীয়দের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

আভা নামে স্থানীয় এক খ্রিষ্টান নারী বলেন, এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বড় দিনের উৎসবকে ঘিরে বাড়ির সাজসজ্জায় ব্যস্ত তিনি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে পরিবারের জন্য তৈরি করছেন বিশেষ সব খাবার।

খ্রিষ্ট প্রথম শতাব্দী থেকে বড় দিনের উৎসবের ইতিহাস ইতালির সঙ্গে মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বড়দিনের উৎসব উদ্দীপনা যা দেশটির কৃষ্টি, দর্শন ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিপূরক হিসেবে মিশে আছে। সেই সঙ্গে বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য।

পৃথিবীর প্রায় সবদেশে বড়দিনের উৎসব আনন্দের প্রভাব পড়ে। কেবল এই একটিমাত্র উৎসবে সরকারিভাবে ছুটি থাকে সমগ্র পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশে। তাই বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ খেলবে না আফগানিস্তান

নড়াইলে সাড়ে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

মালদ্বীপে হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রবাসী নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত

জুলাই সনদে সই না করা রাজনীতিকদের প্রতি সালাহউদ্দিন আহমদের বার্তা

পটুয়াখালীতে কালবেলার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপিত

‘ছাত্রশিবিরের বিজয় ইসলাম, মানবতা ও দেশপ্রেমের জয়’

নুরুদ্দিন অপুকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত

আসছে অদ্ভুুত সব নিয়ম নিয়ে ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট টেস্ট টোয়েন্টি

আফগানিস্তানে আবারও পাকিস্তানের বিমান হামলা

১০

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড

১১

দূরন্ত গতিতে ছুটছে নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স

১২

সিনিয়রদের পথে হাঁটতে ব্যর্থ প্রীতিরা

১৩

নিজেদের স্বার্থে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

১৪

পাবনায় কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

১৫

চরফ্যাশনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৬

নারায়ণগঞ্জে আবু জাফর আহমদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১৭

গাইবান্ধায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৮

ফেনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৯

রাঙামাটিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কালবেলার ৩য় বার্ষিকী উদযাপন

২০
X