ইরাকের ওয়াসিত প্রদেশের আল-সুয়াইরাহ জেলা এবার খেজুর উৎপাদনে দেশের শীর্ষস্থান দখল করেছে। চলতি মৌসুমে এখানকার খেজুর উৎপাদন ১ লাখ টনের বেশি হয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আল-সুয়াইরাহ জেলায় ২৪ হাজার দুনাম (৬ হাজার হেক্টর) জমিতে ১০ লাখেরও বেশি ফলন্ত খেজুর গাছ রয়েছে। এখান থেকে বারহি, খাস্তাওয়ি, খাদরাওয়ি, আশরসি, জামালি, হালাওয়ি, সায়ার এবং মাকতুমসহ প্রায় ৫০টি উন্নত জাতের খেজুর উৎপাদিত হয়, যেগুলোর স্বাদ এবং রপ্তানিযোগ্যতা বিশ্ববাজারে খুবই সমাদৃত।
জেলার কৃষি অফিসের প্রধান বাহজাত খামিস জানান, এই রেকর্ড ফলনের পেছনে সরকারের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে, পাম গাছ রক্ষায় পোকামাকড় দমনের জন্য মানসম্পন্ন কীটনাশক সরবরাহ এবং লাল পাম উইভিলের মতো ক্ষতিকর পোকা দমনে অভিযান সফল হয়েছে।
এক সময় ইরাক ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর রপ্তানিকারক দেশ, ১৯৬০-এর দশকে তারা বিশ্বের ৭৫ শতাংশ খেজুর সরবরাহ করত। তবে যুদ্ধ ও রোগবালাইয়ের কারণে উৎপাদন কমে গিয়ে বর্তমানে তারা নবম স্থানে চলে গেছে। এই পতন ঠেকাতে সরকার তিন কোটি খেজুর গাছ রোপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ২ কোটির বেশি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়েছে।
রাজধানী বাগদাদেও খেজুর গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাসিন্দা ও স্থানীয় সংগঠনগুলো শহরের পুরনো পাম গাছ রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।
তবে চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে। বিশেষ করে পানির সংকট ও খরার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর চাষ হুমকির মুখে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ইরাকে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ খেজুর গাছ থেকে ৭ লাখ ৩৫ হাজার টন খেজুর উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে৬ লাখ টন খেজুর তুরস্ক, ভারত, মিশর, জর্ডান ও উপসাগরীয় ও ইউরোপীয় দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। সূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন