ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, এরই মাঝে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কুয়েতি নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও কিনতে শুরু করেছে পছন্দের পশু। কেউ দুম্বা কেউ গরু কেউবা উট কিনার কথা ভাবছে। তবে দুম্বার চাহিদা কুয়েতি নাগরিকদের সবচাইতে বেশি এখানে।
কুয়েতের সরকারি কয়েকটি জায়গায় পশুর হাট মিললেও সেবদি এলাকা তার মধ্যে অন্যতম। দূর-দূরান্ত থেকে প্রবাসীরা ছুটে আসেন এই স্থান থেকে কোরবানির পশু নিতে।
এখানে পাওয়া যাচ্ছে কুয়েত, সৌদি, ইরান, সোমালিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দুম্বা এবং গরু। তবে সেটা তুলনামূলক অনেক কম। এখানকার পশুগুলোর মালিক কুয়েতি হলেও দেখাশোনা করেন বাংলাদেশিরা।
কুয়েতে উটের চেয়ে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। প্রকারভেদে গরু আড়াইশো দিনার থেকে শুরু করে ১২শ দিনারে বিক্রি হচ্ছে। উট বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে পাঁচশ দিনার। আর দুম্বা ও ছাগল বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ দিনার থেকে দুইশ দিনার পর্যন্ত। অন্যবারের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম বলছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশের মতো যেখানে সেখানে পশু রাখার অনুমতি নেই কুয়েতে। তাই সবাই চেষ্টা করে ঈদের আগের দিন বিকেলে কিংবা ঈদের দিন সকালে পশু নিয়ে যেতে। অনেকে আবার চার পাঁচদিন আগে কিনলেও খামারে রেখে যায়। প্রবাসীরা পরিবার ছাড়া কোরবানি করলেও অনেকে বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন কিংবা রুমমেটদের নিয়ে পশু জাবাই করে থাকে ঈদের দিন।
কুয়েত প্রচণ্ড দাবদাহে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করেও থেমে নেই কোরবানির পশু হাট। রোববার (১৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলতে।
মন্তব্য করুন