ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পরপর ৩ জুমা না পড়লে যা ঘটে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তার ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে মুসল্লিদের মোলাকাত ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের একটি বন্ধন তৈরি করে। এতে করে তারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি স্নেহ-মর্যাদাশীল হয়ে ওঠে। সামাজিক চলাফেরায় ধনী-গরিবের বৈষম্য বিদূরিত হয়। সমাজে নববী সভ্যতার আবির্ভাব ঘটে।

ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)

তবে, ফজিলতের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কেউ পরপর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসুল (সা.)।

এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন (তিরমিজি : ৫০০)। এ অবস্থায় তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)

তবে অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, কয়েক শ্রেণির লোক ছাড়া জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। এই শ্রেণিগুলো হলো, ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)

এ ছাড়া নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। তাই হজরত উমর (রা.) বলতেন, নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের। (বায়হাকি : ১৫৫৯, ৬২৯১)

হজরত আলি (রা.) বলেন, যে নামাজ পড়ে না সে কাফের। (বায়হাকি : ৬২৯১)

নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বেনামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যে কোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩১ অভিবাসী গ্রেপ্তার

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২২৬৩২ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

জুমার দিন কোন সময় গোসল করা সুন্নত, জেনে নিন

আ.লীগের ভোট পাওয়ার জন্য একটি দল তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না : সালাহউদ্দিন

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে নয়াদিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত? 

শিশু সাজিদকে অশ্রুসিক্ত বিদায়, জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

তরুণদের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যানসার, নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায় জেনে নিন

ডেমরায় ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত

ইসলামিক জীবনধারায় ‘ইসলামিক স্মার্ট সিটি’র যাত্রা

পরপর ৩ জুমা না পড়লে যা ঘটে

১০

ডাফির দাপটে তিন দিনেই কিউইদের টেস্ট জয়

১১

শিশু সাজিদের শেষ প্রেসক্রিপশনে যা লিখলেন চিকিৎসক

১২

ইউটিউবে স্ক্রিন বন্ধ রেখে গান শুনবেন যেভাবে

১৩

জাপানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

১৪

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত আমিরের বার্তা

১৫

তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

১৬

স্কুলছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

১৭

জজের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, শহরজুড়ে আতঙ্ক

১৮

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু

১৯

মেট্রো চলাচল নিয়ে স্বস্তির বার্তা ডিএমটিসিএলের

২০
X