কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চুরি ধরে ফেলায় মা-মেয়েকে হত্যা : ডিএমপি

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

চুরি ধরে ফেলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যা করেছেন গৃহকর্মী আয়েশা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেপ্তার আয়েশা নরসিংদী সদর থানার সলিমগঞ্জের রবিউল ইসলামের মেয়ে। ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর পূর্বহাটি এলাকায় স্বামী রাব্বী সিকদারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, আয়েশাকে স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, মা-মেয়েকে হত্যার পর থেকে একাধিক টিম নিয়ে সিসি ফুটেজ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ করছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমে তার বর্তমান বাসা খুঁজে বের করি। পরে আমরা তার মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হতে পারি যে, সে ঝালকাঠির নলছিটি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করি। সেখানে তার স্বামী রাব্বীকেও পাওয়া যায়, তাকেও আমরা হেফাজতে নিই।

গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে আসামি করে সোমবার রাতেই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় তিনি বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের একটি বর্ণনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তার (বাদী) মেয়ের স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যায়।

মামলার বাদী আজিজুল পেশায় স্কুল শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। ঘটনার চার দিন আগে আয়েশাকে তার বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে রাখেন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, মেয়ের গলার নিচে ডান পাশ কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এ অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত-জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন রান্নাঘর লাগোয়া করিডোরে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আসন বণ্টন / যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের ডেকেছে বিএনপি

মনোনয়ন না পেয়ে টাকার বান্ডিল দেখালেন প্রার্থী

সাজিদকে উদ্ধারে কালক্ষেপণ, ক্ষুব্ধ জাহের আলভী

নামাজে ওঠা-বসার তাকবিরগুলো কখন আদায় করা উচিত? জানুন

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটার

সৌদিতে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা

রাতে শুরু হচ্ছে দারাজ ১২.১২-গ্র্যান্ড ইয়ার অ্যান্ড সেল

জয়ার হাতে লাল আপেল, ক্যাপশনে রহস্য

মিরসরাইয়ে জুলাই যোদ্ধা নিহত

আর্জেন্টিনার জালে এক হালি গোল দিয়ে জিতল ভারত

১০

চুরি ধরে ফেলায় মা-মেয়েকে হত্যা : ডিএমপি

১১

এই নির্বাচনের লড়াই, সবচেয়ে কঠিন লড়াই : মির্জা ফখরুল

১২

রাজশাহীতে জামায়াত কর্মীকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ

১৩

বেতন কমছে ক্রিকেটারদের, বাড়বে কেবল একজনের!

১৪

মিয়ানমারে হাসপাতালে বিমান হামলা, নিহত ৩১

১৫

চাঁদাবাজদের কারণে দেশের মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত হচ্ছে না : জামায়াত আমির

১৬

ফারিন খানের গ্ল্যামারাস লুক দেখে ভক্তদের চোখ কপালে

১৭

শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

১৮

গর্তটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট, ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেছে মাত্র ৪০ ফুট

১৯

বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক এবাদুল করিম আর নেই

২০
X