শারজাহে শেষ ওভারের আগেই শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা। টাইগারদের একের পর এক উইকেটের পতন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে চাপ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু এক প্রান্তে অটল ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। সঙ্গে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। দুজনের ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৫ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ পেয়েছে ২ উইকেটের নাটকীয় জয়। এ জয়েই নিশ্চিত হয়ে গেল টাইগারদের সিরিজ জয়।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন ফিরলেন মাত্র ২ রান করে। এরপর সাইফ হাসানও (১৮) বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ২৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বিপদে টাইগাররা, তখন দায়িত্ব নিলেন অধিনায়ক জাকের আলী ও শামীম হোসেন।
এই জুটিই ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে। জাকের খেলেন ২৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস, আর শামীম ঝড়ো ব্যাটিংয়ে করেন ২২ বলে ৩৩। তবে দুজনেই বিদায় নিলে আবারও চাপ বাড়ে। নাসুম আহমেদ (১০) কিছুটা লড়াই করলেও শেষ দিকে দ্রুত সাইফউদ্দিন ও রিশাদের বিদায়ে ম্যাচ একেবারেই সমীকরণে চলে আসে।
সেখানেই সামনে আসেন সোহান। ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দাপুটে ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে তার সঙ্গে শরিফুল ইসলামও খেলেন ৬ বলে ১১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দুজন মিলে আফগানিস্তানের জয় আশা গুঁড়িয়ে দেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ১৪৭ রান। ইব্রাহিম জাদরান (৩৮) ও গুরবাজ (৩০) ইনিংসকে এগিয়ে নেন, আর শেষ দিকে মোহাম্মদ নবী (২০*) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১৯*) দ্রুত রান এনে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি দেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন নেন দুটি করে উইকেট, শরিফুল দেন মাত্র ১৩ রানে একটি উইকেট।
আফগানিস্তানের হয়ে ওমরজাই ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার (৩ ওভারে ৪/১৯), রশিদ খান নেন ২ উইকেট। তবে তাদের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত থামাতে পারেনি সোহানের শান্ত ব্যাট।
তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এখন ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করল এক ম্যাচ হাতে রেখেই। শেষ ম্যাচটি হবে কেবল নিয়মরক্ষার।
মন্তব্য করুন