মাত্র গতকালই পাকিস্তানের মতো বিশ্বসেরা বোলিং অ্যাটাককে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে রোহিত-কোহলিরা। আশা ছিল আজ শ্রীলংকার বিপক্ষেও একই খেলা দেখাবে রোহিত-কোহলিরা। তবে লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ওয়াল্লাগের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে মাত্র ২১৩ রানেই থামিয়ে দিয়েছে দাসুন শানাকা। ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখতে ২১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার দুই স্পিনার দুনিথ ওয়াল্লাগে এবং চারিথ আসালাঙ্কার ঘূর্ণই রোহিত শর্মার দলের দুর্দশার মূল কারন। দুই স্পিনারই নিয়েছেন মোট ৯ উইকেট।
তবে টস জিতে ভারতের শুরুটা ছিল ভালো। ১১ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮০ রান। বলা যায়, উড়ছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আশা ছিল আরেকটি ৩০০ এর বেশি স্কোরের কারণ তখনও বোলিংয়ে আসেননি দুনিথ ওয়াল্লাগে! তিনি বোলিংয়ে এসেই গিল-রোহিতদের মাটিতে নামিয়ে আনেন। দুই ওপেনারকে ফেরানোর মাঝে বিরাট কোহলিকে দাঁড়াতেই দেননি এই স্পিনার।
শুরুটা শুভমান গিলকে দিয়ে। ১২ তম ওভারের প্রথম বলটি মিডল স্টাম্পের ওপর রেখেছিলেন ওয়াল্লাগে । সেখানে মিড-অনে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন এই ওপেনার। ব্যাটের নিচের দিকের কানায় লেগে বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। সাজঘরে ফেরার আগে গিলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।
নিজের পরের ওভারে কোহলিকে ফিরিয়েছেন ওয়াল্লাগে । খানিকটা খাটো লেন্থের বল লেগের দিকে ঘুরিয়ে দৌড় দিতে চেয়েছিলেন কোহলি, কিন্তু বল চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে। এই মাঠে চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা কোহলি এদিন ৪ রানও করতে পারেননি।
নিজের প্রথম দুই ওভারে গিল-কোহলিকে ফেরানোর পর তৃতীয় ওভারেও উইকেটের দেখা পান ভেল্লালেগে। এবার তার শিকার রোহিত। ১৬তম ওভারের প্রথম বলটি স্টাম্পের ওপর রেখেছিলেন। গুড লেন্থের এই বল যতটা উচ্চতায় আসার কথা তার থেকে অনেক নিচু হয়েছে, সেটাতেই বোকা বনেছেন রোহিত। বোল্ড হওয়ার আগে ভারত অধিনায়ক তার নামের পাশে যোগ করেছেন ৫৩ রান।
তিন অঙ ছোঁয়ার আগেই তিন উইকেট হারানো ভারতকে টেনে তুলেন লোকেশ রাহুল-ইশান কিষাণ জুটি। কিন্তু রাহুলকে ৩৯ রানে থামিয়ে ৬৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিও ভাঙ্গেন ভেল্লালেগে। সঙ্গীকে হারিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি ইশানও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান।
এর পরের গল্পটা শুধুই লঙ্কান স্পিনারদের। ১৬ রানের ব্যবধানে পরের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান ওয়াল্লাগে -আসালঙ্কা জুটি। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলকে অলআউটের শঙ্কা থেকে বাঁচাতে পারেননি। ২৬ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মাহিশ থিকশানা।
মন্তব্য করুন