ঘরের মাঠে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা ৬ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এরপর ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ায় নতুন এক বার্তা পেলে বাংলাদেশ দল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা দলকে ঢেলে সাজাতে সাহায্য করবে।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশ নারী দলকে। গত বছর এই দিনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৬ রানের তাড়ায় জয় পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। যা নারী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
সিলেটে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারতীয় নারী দল। গত দুই বছরে ৩৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪ বার ১৩০ রানের কোটা পাড় করা বাংলাদেশ, যেতে পারেনি নতুন রেকর্ডের ধারেকাছে।
২১ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল জ্যোতি-রাবেয়ারা। ভারতের ১৫৬ রানের জবাবে ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ১৩৫ রান। চলতি বছর অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। মূলত নিজের প্রস্তুতির জন্য ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
তাই তো হার-জিত যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিংয়ের করুণ দশার বহির্প্রকাশ। অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতের বিপক্ষে নারী দলের ব্যাটিংয়ের যে হাল, তাতে ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব বেশি প্রত্যাশার রাখার অবস্থা নেই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চার-ছক্কার খেলা, আর বাংলাদেশের দুর্বলতা সেখানেই। শেষ ম্যাচে পুরো ২০ ওভারে জ্যোতিরা চার মেরেছে মাত্র ১৩টি। ছক্কা, সে তো যেন সোনার হরিণ, নেই একটিও। হোয়াইটওয়াশের সিরিজে বাংলাদেশের একটি প্রাপ্তিও রয়েছে। সেটা রাবেয়া খান। ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজে আলো ছড়িয়েছেন ডানহাতি এ লেগ স্পিনার।
সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আট উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন ১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন পেসার মারুফা আক্তার।
এই নিয়ে টানা ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ নারী দল। গত বছর ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জিতে ছিল সবশেষ টি-টোয়েন্টি। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে, জ্যোতি-মারুফাদের নিয়ে নতুন একটা বার্তা গিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।
ব্যাটিংয়ের এই দৈন্যদশা না কাটালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বড় লজ্জা পড়তে হতে পারে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে।
মন্তব্য করুন