এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নির্বাচনে এবার স্পষ্ট বার্তা—আইপিএলে ঝলক দেখালেই জায়গা মিলবে না জাতীয় দলে। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত দলে নির্বাচকরা ভরসা রেখেছেন সেই মূল দলটির ওপর, যারা ২০২৪ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০ ম্যাচে ১৬টি জয় এনে দিয়েছে।
এবারের দলে সবচেয়ে আলোচিত বাদ পড়া নাম শ্রেয়াস আইয়ার। আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে, করেছিলেন ৬০৩ রান—গড় ৫০ ছাড়ানো, স্ট্রাইক রেট ১৭৫-এর ওপরে। তবু জায়গা হলো না ২০ সদস্যের তালিকাতেও। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় দলের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, কীভাবে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে রাখা হলো না। অন্তত ২০ জনের দলে জায়গা পাওয়া তো উচিত ছিল।’
প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, ‘এখানে কাউকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। আমরা কেবল ১৫ জনকেই নিতে পারি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শ্রেয়াসকে এখন অপেক্ষা করতে হবে।’
শুধু আইয়ার নন, বাদ পড়েছেন আরও কয়েকজন আলোচিত পারফর্মার। আইপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক সাই সুদর্শন (৭৫৯ রান) নেই মূল দলে, সর্বোচ্চ উইকেটশিকার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ (২৫ উইকেট) আছেন কেবল রিজার্ভে। বিশ্বকাপজয়ী যশস্বী জয়সওয়ালও (৫৫৯ রান) রাখা হয়েছে রিজার্ভ দলে। নির্বাচকরা এখানে ভরসা রেখেছেন শুভমান গিলের ওপর।
আগারকারের ভাষায়, ‘যশস্বীর জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তবে অভিষেক শর্মা যেভাবে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে এবং কিছুটা বোলিং অপশনও দিচ্ছে, তাতে দলে তার জায়গা প্রাপ্য।’
এদিকে, ইনজুরি-ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচকেরা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছিলেন তিনটি টেস্ট। তাতে সমালোচনা ওঠে, বুমরাহ নাকি ইচ্ছেমতো ম্যাচ বেছে নিচ্ছেন।
কিন্তু আগারকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বুমরাহ অনন্য ও বিশেষ। গত কয়েক বছরে চোট পেয়েছেন, তাই ওকে বাড়তি যত্নে রাখা হচ্ছে। আমরা চাই বড় ম্যাচগুলোতে সে যেন সবসময় উপস্থিত থাকে। এটা আগামী ছয় মাসেও বদলাবে না।
অর্থাৎ আইপিএল ফর্ম যতই ঝলমলে হোক, নির্বাচকরা আপাতত ভরসা রাখছেন পরীক্ষিত কাঠামোতে। আর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে নতুনদের, যারা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সুযোগের খোঁজে।
মন্তব্য করুন