বাংলাদেশ সময় শনিবার (৮ জুন) শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। যারা মানসিকভাবে কিছু বিপর্যস্ত। কারণ প্রস্ততি ম্যাচে লঙ্কানরা হেরে যায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু করে বিশ্বকাপ মিশন।
এমন একটা দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অবশ্য মনোবলও দূর্বল। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ দল। এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয় টাইগাররা।
মানসিকতার এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে দুই দলের প্রাথমিক সুপার এইচে জায়গা করে নেওয়া। পাঁচ দলের গ্রুপে খেলতে হবে চার ম্যাচ। এতে জয় পেতে হবে অন্তত তিনটি ম্যাচে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করা লঙ্কানদের জন্য এ ম্যাচে জয় পাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টানা ম্যাচে হারলে গ্রুপ পর্ব থেকে অনেকটা বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
বর্তমান অবস্থা কিছুটা নাজুক হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল লঙ্কান। একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুইবার রানার্স আপ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে দলটির। বিশ্ব আসরে ঠিকে থাকতে মরিয়া হয়েই টাইগারদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে লঙ্কান সিংহরা।
ডালাসে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। বিশ্ব ক্রিকেটে দুই দলের লড়াইটা এখন বেশ ঝাঁজালো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের মানেই যেন বিতর্ক, উত্তেজনা আর রোমানঞ্চ।
নিদাহাস ট্রফিতে ‘নাগিন ড্যান্স, ওয়ানডে বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক। যা বারবার ফিরে আসে চলতি বছর মার্চে হওয়া দুদলের সিরিজে। এ ম্যাচেও যে এমন বিতর্ক মাথা চাড়া দেবে না, তার নিশ্চয়তা নেই।
সবকিছু মিলিয়ে দুদলের এই লড়াই ঘিরে আগ্রহ তৈরি করেছে সমর্থকদের মাঝে। এই লড়াইয়ে লুকিয়ে রয়েছে দুদলের সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন। ২০১৪ সালে শিরোপা জয়ের পর প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পেরুতে পারেনি লঙ্কানরা। আর ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে প্রথম ও শেষবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার গ্রুপকে বলা হচ্ছে গ্রুপ অব ডেথ বা মৃত্যুকৃপ। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় বেশ চাপে রয়েছে লঙ্কানরা। এ ম্যাচের হার-জিতে রয়েছে সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা। এ জন্য দুদলই এ ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া।
মন্তব্য করুন