শুরুটা সেনাবাহিনী দলের সাথে সংশ্লিষ্টরা ভুলে থাকতে চাইবেন; ০-৫ গোলে হারা ম্যাচ কি কেউ মনে রাখতে চাইবেন? কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরের গল্পটা ছিল দারুণ! মোহনবাগানের পর পাঞ্জাব এফসির সঙ্গে ড্র— ইতিবাচকভাবেই শেষ হলো সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের গ্রুপপর্ব।
৩ ম্যাচ শেষে ২ পয়েন্ট নিয়ে কাগজ-কলমের হিসাবে এখনো ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। গ্রুপের পরিসংখ্যান দেখে মনে হতে পারে, পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেনাবাহিনীর; কিন্তু অলৌকিক কিছু ঘটলেই সেটা সম্ভব। বাস্তবে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানের জোর দাবিদার মোহনবাগান। আগামীকাল শেষ গ্রুপ ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের মোকাবিলা করবে সবুজ-মেরুনরা। বাকি দুই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই সেনাবাহিনীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে মোনেম মুন্নার স্মৃতিবিজরিত ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল। ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে পয়েন্ট পেলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের টপকে যাবে পাঞ্জাব এফসিও।
মৌসুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই টিকিট নিয়ে হুলস্থুল ছিল কলকাতায়। ওই অবস্থায় সেনাবাহিনী-পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। ম্যাচটি পাঞ্জাবের প্রতিনিধিদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এ দ্বৈরথ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট তুলতে পারলে পরের রাউন্ডের টিকিট প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতো দলটির। ড্র করায় সে সম্ভাবনা কমেছে বটে, শেষ হয়ে যায়নি।
ইন্ডিয়ান অয়েলের পৃষ্ঠপোষকতার আসরে ২৪ দল অংশগ্রহণ করছে; যার ১২টি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের। পাঁচটি আই লিগের ক্লাব, একটি আই লিগের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব, একটি আঞ্চলিক দল, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর তিন দলের সঙ্গে দুটি বিদেশি দল নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এবারের আসর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাড়াও নেপালের ত্রিভুবন আর্মি বিদেশি দল হিসেবে এ আসরে অংশগ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন