ফুটবল ম্যাচে শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়—এই পুরোনো সত্য আবারও প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি। ৮৬ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের মাধ্যমে গোল করে এবং শেষ মুহূর্তে তেলাসকো সেগোভিয়ার গোলের মাধ্যমে ইন্টার মায়ামি ফিরল হারিয়ে যাওয়া ম্যাচে। তবুও জয় অধরাই থেকে গেল, কারণ ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের মাঠে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় ৩-৩ গোলে ড্র দিয়ে।
ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে যখন স্কোরলাইন ছিল ৩-১, তখনই জ্বলে উঠলেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের ঝড় তুলে ফ্রি-কিক থেকে বল জড়ালেন জালে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে, সেগোভিয়া এনে দিলেন সমতাসূচক গোল।
তবে ড্র সত্ত্বেও চিন্তার ভাঁজ ইন্টার মায়ামি শিবিরে—শেষ ৮ ম্যাচে এটি তাদের সপ্তম জয়হীন ম্যাচ। যদিও মেসির শেষ মুহূর্তের জাদু কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে, তবে হেরনসদের রক্ষণভাগ যে আবারও প্রশ্নের মুখে, তা স্পষ্ট।
ম্যাচের শুরুর চিত্র ছিল একতরফা। মাত্র ৭ মিনিটেই লিড নেয় ফিলাডেলফিয়া। তরুণ মার্কিন মিডফিল্ডার কুইন সুলিভান দুর্দান্ত কার্লিং শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পান কর্নার থেকে। বিরতির ঠিক আগে এমএলএস গোল্ডেন বুটে শীর্ষে থাকা তাই বারিবো করেন দলের দ্বিতীয় গোল।
৬০ মিনিটে মায়ামির হয়ে তাদেও অয়াল্লেন্দে হেড থেকে এক গোল শোধ দেন। কিন্তু এরপর ৭৪ মিনিটে বারিবো করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, স্কোরলাইন তখন ৩-১। সবাই ভাবছিল কাজ শেষ। কিন্তু তখনই জ্বলে উঠল মেসির বাঁ পা।
ম্যাচে ফিলাডেলফিয়া শট নিয়েছে ১৮টি, যেখানে ইন্টার মায়ামির শট ছিল ১০টি। বল পজিশনে কিছুটা লড়াই দিলেও ডিফেন্স লাইনে ছিল চরম বিশৃঙ্খলা। শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট পেয়ে কিছুটা স্বস্তি এলেও দলটি যে স্পষ্টভাবে ছন্দহীন, তা বোঝা গেল আরও একবার।
মেসি ইতিমধ্যেই এমএলএস মৌসুমে ৬টি গোল করে ফেলেছেন, কিন্তু দলগত পারফরম্যান্স না থাকলে তা খুব একটা কাজে আসছে না।
এই ড্রয়ের ফলে ইস্টার্ন কনফারেন্সে আরও পিছিয়ে পড়ল মায়ামি। এখনই হাল ছাড়লে চলবে না। কোচ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর জন্য চাপ বাড়ছে—এই দলটিকে আবার জয়ের ধারায় ফেরাতে হবে, এবং সেটা দ্রুতই।
মেসির ফ্রি-কিক যেমন চোখ জুড়ানো, তেমনি দলের রক্ষণের দুর্বলতা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো! আবারও প্রমাণ হলো, একজন মেসি অনেক কিছু করতে পারেন, কিন্তু জিততে হলে পুরো দলকেই এগিয়ে আসতে হয়।
মন্তব্য করুন