স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে মুগ্ধ পেপ গার্দিওলা

পেপ গার্দিওলা । ছবি : সংগৃহীত
পেপ গার্দিওলা । ছবি : সংগৃহীত

ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বরাবরই খেলাধুলার নান্দনিকতা আর কৌশলের প্রতি অনুরাগী। তবে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি যেন ভিন্ন এক মোহে পড়ে গেছেন—দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের! বিশেষ করে আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের প্রতি তার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

আল আইন-এর বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর পারফরম্যান্স ও সম্ভাব্যভাবে সেখানে ভবিষ্যতে কোচিংয়ের আগ্রহ নিয়ে। জবাবে তিনি যা বললেন, তা যেন এক ভালোবাসার ঘোষণা।

‘আমি যখন বোকা জুনিয়র্সের খেলা দেখি, তারা প্রতিটি বলের জন্য যে লড়াই করে তা দেখলেই মনে হয়—ওয়াও, যেন পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে! প্রতিটি মুহূর্তে এমন নিবেদন সত্যিই অসাধারণ।’

তিনি বলেন, ‘এ টুর্নামেন্টে যখন দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর মুখোমুখি হই, তখন আলাদা একটা চ্যালেঞ্জ আসে। তারা যেভাবে প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধ করে, যেভাবে প্রতিটি বলের জন্য লড়ে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। প্রায় সব ম্যাচই টান টান উত্তেজনায় ভরা, এমনকি ইউরোপিয়ান দলগুলো হারলেও সেটা অবাক করার মতো নয়। বলি, এটাই তো বাস্তব ফুটবল দুনিয়া, বন্ধু!’

দক্ষিণ আমেরিকায় কোচিং করানোর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেন, ‘কেন নয়? ফুটবলের ইতিহাসে যেসব দারুণ জিনিস ঘটেছে, তার অনেকটাই এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে।’ তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের মতো দেশগুলোর কথা।

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়রা সেখান থেকেই উঠে এসেছে। পরবর্তী সময় তারা ইউরোপে চলে যায় আর্থিক সুযোগ ও গ্ল্যামারের জন্য। কিন্তু ওই অঞ্চল থেকেই ফুটবলের প্রাণ আসে—তাদের ভক্তরা, আবেগ, ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া—সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে। আমি এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই এসব জিনিস উপভোগ করি।’

গার্দিওলার চোখে বোকা জুনিয়র্স, রিভারপ্লেট, বোটাফোগো, সান্তোস, পালমেইরাস—সবই হলো ইতিহাসে ঠাসা ক্লাব।

‘এসব ক্লাবের চারপাশে যে আবেগ, যে ঐতিহ্য, সেটা অনন্য। আমি কোনো সম্ভাবনার দরজা বন্ধ করছি না। কিছু বলা যায় না, ভবিষ্যতে আমি এসব ক্লাবেই কোচিং করাতে পারি।’

এই বক্তব্য শুধু গার্দিওলার ব্যক্তিগত রুচি বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়; বরং বিশ্ব ফুটবলের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং শ্রদ্ধারও প্রতিফলন। যখন ইউরোপিয়ান কোচরা প্রায়ই দক্ষিণ আমেরিকাকে পেছনে ফেলতে চায়, গার্দিওলা ঠিক উল্টো পথে হেঁটেছেন—প্রশংসা করেছেন, ভালোবেসেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রিকেট নিয়ে রাজশাহীবাসীকে সুখবর দিলেন বিসিবি সভাপতি

কম খরচে আনারসের চারা উৎপাদনে সফলতা

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিতে পারে ইরান

নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিল জবি ছাত্রদল

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি

কেরানীগঞ্জে গভীর রাতে বিস্ফোরণ

কল এলে মোবাইলের ইন্টারনেট বন্ধ হয়, জানুন প্রতিকার

বেপরোয়া বিএনপি, ৩ হাজার কোটি টাকার পাথর লুট

কালো টাকা সাদা করার বিধান থাকছে না : অর্থ উপদেষ্টা

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে ১০ দেশের প্রতিক্রিয়া

১০

চার বছরে দেড় কোটি টাকার রাজস্ব লোপাট

১১

সারদায় প্রশিক্ষণার্থী কনস্টেবলদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

১২

যেসব তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ

১৩

‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে পুলিশের কলঙ্ক মোছার নির্বাচন’

১৪

ইরানের সেই ৩ পারমাণবিক স্থাপনা কোথায়, কী আছে সেখানে

১৫

যেসব প্রতীক চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছে এনসিপি

১৬

কারমাইকেল কলেজ শাটডাউনে অচল করে দেওয়ার হুমকি শিক্ষার্থীদের

১৭

বিরল রোগের কারণে বিয়ে করছেন না সালমান

১৮

নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর জবি ক্যাম্পাস 

১৯

ইরানে মার্কিন হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া

২০
X