

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা স্বীকার করেছেন যে দলের অন্যতম সেরা তারকা রায়ান চেরকির পারফরম্যান্স তাকে একই সঙ্গে আনন্দিত ও হতাশ করে। তবে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো রাতটি ছিল প্রশংসার, সমালোচনার নয়। প্রিমিয়ার লিগে টানা ষষ্ঠ জয়ে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন এই ফরাসি তারকা।
শনিবার সিটি গ্রাউন্ডে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ২–১ গোলের জয়ে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে সিদ্ধান্তমূলক গোল করেন চেরকি। এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিজ্জানি রেইন্ডার্সকে অ্যাসিস্ট দিয়ে দলের প্রথম গোলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। তবে ফরেস্ট কিছুক্ষণ পরই সমতা ফিরিয়ে দেয় ও পুরো ম্যাচেই সিটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে রাখে।
ম্যাচ শেষে চেরকিকে নিয়ে নিজের দ্বিধাভরা অনুভূতির কথা অকপটে তুলে ধরেন গার্দিওলা। তিনি বলেন, “কখনো তাকে দেখে চিৎকার করি, আবার কখনো মনে হয় তাকে জড়িয়ে ধরি। তার ভেতরে অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা রয়েছে। দল যদি পেছন থেকে আরও ভালোভাবে বল তৈরি করতে পারে, তাহলে তার কাছ থেকে আমরা আরও বেশি কিছু পাব। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেটাই কিছুটা করতে পেরেছি।”
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের শক্ত অবস্থান আরও দৃঢ় করলো ম্যানচেস্টার সিটি। গার্দিওলার ভাষায়, এমন ম্যাচ আগের মৌসুমে হেরে যেত সিটি। তিনি বলেন, “এই তিন পয়েন্ট বিশাল। প্রতিপক্ষ দারুণ খেলেছে, তাদের বিপক্ষে জিততে হলে কষ্ট স্বীকার করে খেলতে হয়। আজ আমরা সেটাই করেছি।”
অন্যদিকে ফরেস্ট কোচ শন ডাইচ রায়ান চেরকির গোলের আগে ফাউল ছিল বলে অভিযোগ করেন এবং রেফারিং ও ভিএআরের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন। তার দাবি, সিদ্ধান্তটি সঠিক হলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারত।
শেষ পর্যন্ত চেরকির নির্ণায়ক পারফরম্যান্সে মাঠ ছাড়ে সিটি। আর সেই অসাধারণ রাতের নায়ককে নিয়ে গার্দিওলার আবেগী প্রশংসা যেন তার প্রতিভার প্রতি একই সঙ্গে প্রত্যাশা ও দাবি—দুটোরই প্রতিফলন।
মন্তব্য করুন