ফুটবলের সবুজ গালিচায় এক নতুন ইতিহাস রচিত হলো ব্রাজিলে। ফ্লুমিনেন্সের ৪৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ফাবিও পা রাখলেন এক অনন্য মাইলফলকে। তিনি পেশাদার ফুটবলে নিজের ১,৩৯০তম ম্যাচে মাঠে নেমে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পিটার শিল্টনের সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডের সঙ্গে সমতায় পৌঁছে গেলেন।
শনিবার ব্রাজিলিয়ান সিরি-আ লিগে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে ফোর্তালেজাকে ২-১ গোলে হারানোর ম্যাচেই ধরা দিলো এ অর্জন। প্রায় তিন দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফাবিও খেলেছেন ইউনিয়াও বান্দেইরান্তে (৩০ ম্যাচ), ভাস্কো দা গামা (১৫০), ক্রুজেইরো (৯৭৬) এবং ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৪ ম্যাচ।
ফাবিও নিজেই এই কৃতিত্বকে জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। ম্যাচ শেষে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘ঈশ্বর আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। বাবা-মা, পরিবার, বন্ধু, স্ত্রী—সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। তবে মাঠে আমার প্রথম দায়িত্ব সতীর্থদের সাহায্য করা। ঈশ্বর ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না।’
ফাবিওর দীর্ঘ যাত্রা শুধু সংখ্যাতেই নয়, অর্জনেও ভরপুর। ক্রুজেইরোর হয়ে দুইবার ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, দুইবার কোপা দো ব্রাজিল জিতেছেন তিনি। ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেওয়ার পর হাতে উঠেছে কোপা লিবার্তাদোরেস ও রেকোপা সুদামেরিকানা ট্রফি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস-পরিসংখ্যান সংস্থা (আইএফএফএইচএইচ) উভয়েই শিল্টনের ম্যাচসংখ্যা ১,৩৯০ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে শিল্টন নিজে ১,৩৮৭ দাবি করেন। এ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবু তিনি আগেই বলেছিলেন—ফাবিও যদি রেকর্ড ভাঙেন, তিনি সবার আগে অভিনন্দন জানাবেন।
শীর্ষ পাঁচ ফুটবলার (সর্বাধিক ম্যাচ খেলা)
রেকর্ড ভাঙার দোরগোড়ায়
আগামী মঙ্গলবার কোপা সুদামেরিকানার শেষ ষোলোতে আমেরিকা দে কালি-র বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্লুমিনেন্স। সেদিনই ফাবিও শিল্টনকে ছাড়িয়ে যাবেন এবং ফুটবল ইতিহাসে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হিসেবে এককভাবে নিজের নাম লেখাবেন।
৪৪ বছর বয়সেও নিয়মিত প্রথম একাদশে থাকা ফাবিও প্রমাণ করছেন—ফুটবলে বয়স নয়, মানসিক দৃঢ়তাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
মন্তব্য করুন