দীর্ঘদিন পর যেন একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সমালোচনার চাপে থাকা কোচ রুবেন আমোরিম তার ৫০তম ম্যাচে পেলেন পরিপূর্ণ এক জয়—ওল্ড ট্রাফোর্ডে সান্ডারল্যান্ডকে ২–০ গোলে হারিয়ে।
ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন ম্যাসন মাউন্ট। ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটে ব্রায়ান এমবেউমোর নিখুঁত পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের এই মৌসুমের দ্রুততম গোল, যা গত মৌসুমে ইপ্সউইচের বিপক্ষে মার্কাস রাশফোর্ডের দ্বিতীয় মিনিটের গোলের পর দেখা যায়নি।
এরপর প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্লোভেনিয়ান ফরোয়ার্ড বেঞ্জামিন সেশকো। ৩১তম মিনিটে কাছাকাছি দূরত্ব থেকে এক টাচে বল জালে পাঠিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে টানা দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তিনি।
তবে ম্যাচে ইউনাইটেডের আসল স্বস্তি এনে দেন নতুন গোলরক্ষক সেনে ল্যামেন্স। রয়্যাল অ্যান্টওয়ার্প থেকে £১৮.১ মিলিয়নে আসা এই বেলজিয়ান প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে খেলেন এবং অভিষেকেই রাখেন ক্লিন শিট। ৭৪ হাজার দর্শকে ভরা ওল্ড ট্রাফোর্ডে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেভে প্রমাণ করেন, তিনি প্রস্তুত বড় মঞ্চের জন্যই।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে সান্ডারল্যান্ড একবার পেনাল্টির সুযোগ পেলেও ভিএআর চেক করে সেটি বাতিল করা হয়। রিপ্লেতে দেখা যায়, সেশকোর বুট ট্রাই হিউমের মুখে লাগেনি।
শেষ মুহূর্তে কিছুটা বিপদে পড়লেও ল্যামেন্স ঠান্ডা মাথায় দলকে রক্ষা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও রেফারি তা ডাইভ হিসেবে রায় দেন।
অবশেষে পূর্ণ ৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ২–০, আর তাতেই টানা তিনটি হোম জয়ের মুখ দেখল ইউনাইটেড—প্রায় দুই বছরের মধ্যে যা প্রথম। একইসঙ্গে আমোরিমও যোগ দিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পাশে, ৫০তম ম্যাচে জয় পাওয়া একমাত্র দুই ইউনাইটেড ম্যানেজার হিসেবে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারি তখন মুখরিত “রুবেন আমোরিম” স্লোগানে—যেন বার্তা দিচ্ছিল, অন্তত এই রাতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চায় না কেউ।
মন্তব্য করুন