নিজেদের পোস্টে গোল করছেন নিজেরাই। তাও একবার নয় পরপর দুবার। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল তো দূরের কথা পাড়া ফুটবলেও দেখা যায় না এমন আত্মঘাতী গোল। এর পরই দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের আহবাব আর রেঞ্জার্সের এই ম্যাচটি ঘিরে তোলপাড় ভারতীয় ফুটবল মহল।
ম্যাচ পাতানোর গুরুতর অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি সকার অ্যাসোসিয়েশন-ডিএসএ। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। দুটি আত্মঘাতী গোল করা আহবাব এফসিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে পর্যন্ত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাবটি দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে পারবে না।
রেঞ্জার্স এসসির বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি আত্মঘাতী গোল করে আহবাব। এমন আত্মঘাতী গোল সাধারণত ফুটবলে দেখা যায় না। এতেই বিতর্কের সূত্রপাত। দুই গোলের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেখে মনে হয়েছে, বিপক্ষ দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই গোল দুটি করা হয়েছে।
ম্যাচ পাতানোর প্রথম অভিযোগ তোলেন মিনার্ভা পাঞ্জাব দলের কর্ণধার রঞ্জিত বজাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোল দুটির ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘জানুয়ারির মাঝামাঝিই ম্যাচ পাতানোর কথা বলেছিলাম। কেউ কিছু করেনি। এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় তিনি সঠিক ছিলেন। এখন আর কেউ লুকিয়ে কিছু করছে না। কিছু ক্লাবের মালিক ফুটবলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তবে গোল দুটির পোস্ট মুছে ফেরার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভিডিওগুলো দ্রুত ভাইরাল হওয়ায় পুরোপুরি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ফুটবলের সভাপতি কল্যাণ চৌবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি লিখেছেন, ‘গোল দুটির ভিডিও সকলকে সচেতন করেছে এবং এতে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের উপর গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এটি খুবই উদ্বেগজনক। গত কয়েক মাসে, ভারতীয় ফুটবল থেকে এই ধরনের ঘটনা নির্মূল করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করা হচ্ছে। সন্দেহজনক ম্যাচের ক্ষেত্রে তদন্ত করে প্রমাণ সংগ্রহ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ম্যাচে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের খুব কাছে ছিল আহবাব এফসি। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আহবাবের দুই ফুটবলারের দু আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেঞ্জার্স এফসি।
মন্তব্য করুন