সান্তিয়াগো বার্নাব্যু খেলতে নামা মানেই বায়ার্নের মৃত্যু বা আত্মহত্যা। প্রায় দুই যুগের চিত্রটা এমন। ২০০০ সালের পর রিয়ালের মাঠে খেলা ৭ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বায়ার্ন। সেই ধারা বদলানোর দারুণ সুযোগ জার্মান ক্লাবটির সামনে।
বায়ার্ন, রিয়ালকে ন্যূনতম ব্যবধানের হারেরই মাঠে গড়াবে অল-জার্মান ফাইনাল। কারণ আগের রাতে পিএসজিকে কাঁদিয়ে ফাইনালের প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এক ঢিলে অনেক পাখি মারার সুযোগ বায়ার্নের সামনে।
গত দুই দশকের পরিসংখ্যান বলছে, দুই দলের ২৭ ম্যাচে রিয়ালের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্ন জিতেছে ১১টিতে। রাতে রিয়ালের মাঠে জিতলেই নিশ্চিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।
দুদলের সর্বশেষ ৮ দেখায় স্প্যানিশ জায়ান্টদের হারাতে পারেনি বাভারিয়ানরা। উল্টো এই ৮ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে বায়ার্ন। একই সঙ্গে মিটবে রিয়ালকে না হারাতে পারার আক্ষেপ।
এদিকে চার ম্যাচ হাতে রেখে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল। আর টানা এক দশকেরও বেশি সময় পর বুন্দেসলিগার রাজত্ব হারিয়েছে বায়ার্ন। জার্মান কাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে তারা। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে না পারলে দীর্ঘদিন পর ট্রফিহীন থাকতে হতে পারে দলটিকে।
কার্ডসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রিয়ালের স্কোয়াডে ফিরেছেন দানি কালভাহাল। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন দলের সেরা গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানসিটিকে হারানোর নায়ক আন্দ্রে লুনিনের ভরসা রাখছেন ইতালিয়ান কোচ।
চলতি মৌসুমের একটি পরিসংখ্যান ভাবাচ্ছে রিয়াল সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে নিজেদের মাঠে জিততে পারেনি গ্যালাক্টিকোরা। শেষ ষোলোতে লিপজিগের ১-১ গোলের ড্র পর কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান সিটির সঙ্গে ৩-৩ গোলে রিয়াল।
আর মাত্র দুই জয়, এতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের নিজেদের রেকর্ড ১৪ থেকে ১৫তে উন্নতি করবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এর প্রথমটিতে বুধবার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে (ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১টা)।
এ ম্যাচ জিতলে টিকিট মিলবে ১ জুন ওয়েম্বলির ফাইনালের। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছে পিএসজিকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ওঠা আরেক জার্মান দল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
মন্তব্য করুন