আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি স্ট্রাইকার হার্নান ক্রেসপো কোচিংয়ে ঠিক পুরোনো নাম নন। বিখ্যাত এই স্ট্রাইকারের বেশ কয়েকটি শিরোপাও আছে ম্যানেজার হিসেবে। এবার সেই তালিকায় তিনি যোগ করলেন এশিয়ার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে তিনি এশিয়ার ক্লাবগুলোর শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা জিতেছেন।
শনিবার (২৫ মে) এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ফিরতি লেগে জাপানের দল ইয়োকোহামা এফ-মারিনোসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া সেরার শিরোপা জেতালেন আর্জেন্টাইন এই কোচ।
প্রথম লেগে জাপানের মাটিতে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকলেও আল আইন অসাধারণভাবে ফিরে আসে। দুটি গোল করেন ক্লাবটির মরোক্কার ফুটবলার সৌফিয়ান রহিমি, পেনাল্টি থেকে গোল করেন কাকু এবং শেষে জোড়া গোল করেন কোডজো লাবার।
ইয়োকোহামার গোলকিপার উইলিয়াম পপ প্রথমার্ধের ঠিক আগে লাল কার্ড পাওয়ার পরই অবশ্য ম্যাচে আল আইনের একচ্ছত্র আধিপত্য শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলে যা আল আইনের পক্ষে ৬-৩ এ শেষ হয়।
তেলসমৃদ্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে সফল ক্লাব আল আইন, ২০০৩ সালে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা তারা ঘরে তুলেছিল। এ ছাড়াও ২০০৫ এবং ২০১৬ সালে রানার-আপ হয়েছিল।
অন্যদিকে হ্যারি কিউয়েলের নেতৃত্বে ইয়োকোহামা চতুর্থ জাপানি দল হিসেবে টুর্নামেন্ট জিততে চেয়েছিল।
এই জয়টি আরেকদিক থেকেও বিশেষ। গতকালের ম্যাচের দুই কোচ ক্রেসপো ও কিউয়েল আগেও মহাদেশীয় ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেটি অবশ্য ২০০৫ সালের সেই বিখ্যাত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যেখানে এসি মিলানের হয়ে ক্রেসপোর জোড়া গোল বৃথা গিয়েছিল।
ক্রেসপো প্রথম লেগের পর দ্বিতীয় লেগে ইয়োকোহামার জন্য ‘নরক’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং হাজ্জা বিন জায়েদ স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শক ক্রেসপোর সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময় রাত ১০:০০ টায় শুরু হওয়া ম্যাচে আল আইন মাত্র ৯ মিনিটে এগিয়ে যায়। পরে ৩৪ মিনিটে তারা তাদের লিড দ্বিগুণ করে। পরে অবশ্য ৪০ মিনিটে ইয়োকহামা এক গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। তবে প্রথমার্ধ, যা অবিশ্বাস্যভাবে ১৮ মিনিট অতিরিক্ত দেখে তা ইয়োকোহামার জন্য খারাপভাবে শেষ হয় যখন তাদের গোলকিপার পপ রহিমিকে ফাউল করে এবং লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ে।
বিরতির পর, ১০-জনের ইয়োকোহামা চেষ্টা করে ম্যাচকে লম্বা করার। তবে ম্যাচে একজন বেশি নিয়ে খেলা আইনের সামনে আর দাড়াতে পারেনি।
এই বিজয় আল আইনকেও নতুন রূপের ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায়, যা আগামী বছর জুন এবং জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন