আর্জেন্টিনাকে প্রায় একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতান ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপ জয়ের পথে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ঐতিহাসিক গোল। এর একটিকে বলা হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ বা ঈশ্বরের হাতের গোল। অন্যটি পেয়েছে শতাব্দীর সেরা গোলের খেতাব।
নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বিদ্যুৎ গতিতে ছুটতে শুরু করেন, ইংলিশদের গোলপোস্টের অভিমুখে।
বাঁ পায়ে দৃষ্টিনন্দন ড্রিবলিংয়ে বোকা বনে যান চার ইংলিশ ফুটবলার। ডান প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে সর্বশেষ পরাস্ত করে ইংলিশ গোলকিপারকে। বোকা বানালেন। ডান প্রান্ত থেকে গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে বল পাঠালেন জালে। এরপর থেকে এ ধরনের গোলকে বলা হয় ম্যারাডোনা গোল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোরে কোপা আমেরিকায় জ্যামাইকার জালে প্রায় একই রকম গোল করেন ইকুয়েডরের আলান মিনডা।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কর্নার পায় জ্যামাইকা। সেই কর্নারের পর নিজেদের ডি বক্সের কাছে বল পান উইঙ্গার মিনডা। ম্যারাডোনার মতো মাঠের বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ছুটতে থাকেন তিনি। বল নিয়ে প্রায় ৬০ মিটার দৌড়ে যান।
যেহেতু কর্নার থেকে বল পেয়েছেন, তাই জ্যামাইকার রক্ষণে খুব বেশি ফুটবলার ছিলেন না। মিনডার পেছন পেছন দৌড়ে ছিলেন দুই জ্যামাইকান ফুটবলার। একজন তার গতির সঙ্গে পেরে ওঠেনি।
আরেকজন ট্যাকেল করেও তাকে রুখতে পারেননি। কিছুটা এগিয়ে আসা জ্যামাইকার গোলকিপারকে পরাস্ত করতে খুব বেশি বেগ হতে হয়নি এই উইঙ্গারকে।
ম্যাচে জ্যামাইকাকে ৩-১ গোলে হারায় ইকুয়েডর। এতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াই ভালোভাবেই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দলটি।
মন্তব্য করুন