প্রযুক্তির উৎকর্ষের ছোঁয়া যেমন মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রাকে সহজ করে, তেমনি যুদ্ধক্ষেত্রের মারণাস্ত্রকেও করে তোলে ভয়ংকর। তেমনি একটি প্রযুক্তিগত ভয়ংকর অস্ত্র ড্রোন বা দূর-নিয়ন্ত্রিত মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান। ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনের মতো সামরিক শক্তিধর দেশগুলো মিলিটারি গ্রেডের ড্রোন ব্যবহার করে আসছে। তবে সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মিডিয়াম অলটিচিউড লংগার এন্ডুরেন্স বা মেল ড্রোন।
মেল ড্রোন তুলনামূলক কম উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে সক্ষম। ১০ হাজার থেকে ৩০ ফুট উচ্চয়তায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম ড্রোনগুলোকে মেল ড্রোন বলা হয়ে থাকে। আবার যে ড্রোনগুলো এর থেকেও উঁচুতে দীর্ঘসময় উড়তে সক্ষম, সেগুলো সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে ‘হেল’ ড্রোন। ভারতভিত্তিক ব্যবসা সাময়িকী লাইভমিন্টের এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে মেল ও হেল ড্রোন সম্পর্কিত একটি চুক্তি হতে পারে যার আর্থিক মূল্যমান ২ থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে বাড়ছে মেল ড্রোনের ব্যবহার।
ড্রোন ওয়ার্স ওয়েবসাইট বলছে, ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল এবং চীন মেল ড্রোনের ব্যবহার শুরু করে। চীন এ ড্রোনের এতটাই ব্যবহার করে যে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিপুলসংখ্যক মেল ড্রোন দেশটি বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, মিশর, আলজেরিয়া এবং পাকিস্তানের মতো দেশে সেসব ড্রোন রপ্তানি করে চীন। প্রায় সমসাময়িক সময়ে ড্রোনসংক্রান্ত নিজেদের প্রযুক্তি উন্নয়ন করে ইরান ও তুরস্ক। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে মেল ড্রোন রপ্তানি করে তুরস্ক। পাশাপাশি ২০১৯ সালে মার্কিন প্রযুক্তির মেল ড্রোন ব্যবহার শুরু করে ফ্রান্স।
পাশাপাশি এ ড্রোনের প্রযুক্তি পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে ভারত, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও তাইওয়ান।
মন্তব্য করুন