সময়ের আবর্তে স্মার্টফোন নাগরিক জীবনের অপরিহার্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ব্যবহারে সুরক্ষা নিশ্চিতে অনেকেই আইফোনে ভরসা করেন। যদিও তথ্য বলছে, অ্যাপল গ্রাহকরা নতুন ধরনের অনলাইন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যেখানে স্ক্যামাররা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, এই স্ক্যামাররা নানাভাবে গ্রাহকদের অ্যাপলের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে থাকে। যে কারণে গ্রাহকের ডিভাইসসহ ডাটার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
স্ক্যামাররা প্রথমে ব্যবহারকারীদের এমন ইমেইল বা মেসেজ পাঠায়, যা দেখে প্রথমেই মনে হবে এসব বার্তা অ্যাপলের থেকে এসেছে। সাধারণত এসব বার্তায় ব্যবহারকারীদের বলা হয়, অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত সমাধান না কররে বড় বিপদ হতে পারে।
একপর্যায়ে গ্রাহক ঘাবড়ে যায়। মেসেজটিতে ক্লিক করা মাত্রই ব্যবহারকারীকে ওয়েবসাইটের নিয়ে যায়, যা দেখতে অ্যাপলের অফিসিয়াল সাইটের মতো। যেখানে ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ডসহ তাদের লগইন তথ্য লিখতে বলা হয়। একপর্যায়ে গ্রাহকের অজান্তেই স্ক্যামারদের হাতে চলে যায় এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। একপর্যায়ে ডিভাইস ব্যবহার প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।
স্ক্যামাররা তখন ব্যবহারকারীকে ফোন কলে অ্যাপল সাপোর্টার দাবি করে বলেন, আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারের অধীনে রয়েছে এবং এটি রক্ষা করার জন্য তাদের কিছু তথ্য যাচাই করতে হবে। এর জন্য তারা স্পুফড কলার আইডি ব্যবহার করে। ভিকটিমদের আস্থা অর্জনের জন্য স্ক্যামাররা PeopleDataLabs-এর মতো উৎস থেকে প্রাপ্ত ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে। এই তথ্য ব্যবহার করা হলে ব্যবহারকারীরা তা বৈধ বলে মনে করেন।
এ সময়ে গ্রাহকের আস্থা অর্জনে ব্যক্তিগত তথ্য বলতে থাকে স্ক্যামার। এইর মধ্যে একের পর এক নোটিফিকেশন আসতে থাকে ফোনে। অ্যাপল সাপোর্টার বলে দাবি করে এমন একজনের কাছ থেকে তিনি ফোন কল পান। এই স্ক্যামারদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে তাদের ডিভাইসে পাঠানো কোড চাওয়া। সফল হলে, স্ক্যামাররা ভিকটিমের অ্যাপল আইডি পাসওয়ার্ড রিসেট করতে এবং সম্ভাব্য ভাবে তাদের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে এই কোডটি ব্যবহার করে।
এসব বিড়ম্বনা এড়াতে সব সময় প্রেরকের ইমেইল আইডি বা যে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে বলা হয় তার ইউআরএল (URL) চেক করতে হবে। সন্দেহজনক মনে হলেই এড়িয়ে চলুন।
মন্তব্য করুন