শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করেন উগান্ডার লোকজন

মেঝে ঝাড় দিচ্ছেন এক উগান্ডাবাসী। ছবি : সংগৃহীত
মেঝে ঝাড় দিচ্ছেন এক উগান্ডাবাসী। ছবি : সংগৃহীত

ধুলোয় একাকার মেঝে। এর মধ্যেই হামাগুড়ি দিচ্ছে শিশুরা। কোনো ঘরের মেঝে স্যাঁতসেঁতে। তাতে বাসা বেঁধেছে নানা ধরনের কীট। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করেন উগান্ডার লোকজন।

উগান্ডার বাসিন্দারা মনে করেন, এই মেঝে তাদের সব রোগের কারণ। স্বপ্ন দেখেন কংক্রিট দিয়ে মেঝে তৈরি করবেন তারা। কিন্তু বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী হিসেবে কংক্রিট দিয়ে মেঝে তৈরি করা অনেকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

এমন এক বাসিন্দা সাইমন তিগাওয়ালানা। তিনি বছরের পর বছর ধরে তার বাড়ির মাটির মেঝের উন্নতির স্বপ্ন দেখতেন। কারণ তিনিও এটিকে তার পরিবারের অসুস্থতার জন্য দায়ী মনে করতেন। তবে অর্থের অভাবে তার স্বপ্ন অধরাই ছিল।

তখন আর্থএনেবল নামে একটি কোম্পানি তার কাছে এসে বিকল্প প্রস্তাব দেয়। তারা বলে, কংক্রিটের তুলনায় অর্ধেকেরও কম খরচে টেকসই এবং সিল করা মেঝে বানানো যায়। আর সেটি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে কাদামাটি। তিগাওয়ালানা প্রথমে আমলে না নিলেও এখন তার দুটি কক্ষে এই নতুন মেঝে এবং শিগগিরই শেষ কক্ষটিতেও তা নির্মাণ করার আশা করছেন।

৫৬ বছর বয়সী ১৬ সন্তানের পিতা তিগাওয়ালানা বলেন, আমি খুশি যে আমাদের এখন একটি শালীন বাড়ি আছে এবং আমরা আরামদায়কভাবে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে পারি। যখন থেকে আমরা কাদামাটির তৈরি বিশেষ মেঝে পেয়েছি, তখন থেকে আমার বাচ্চারা আর সেই কাশি ও ফ্লুতে ভোগে না। মাটির মেঝে ঝাড়ু দেওয়ার সময় ধুলোর কারণে সেসব রোগ হতো।

আর্থএনেবল আফ্রিকাজুড়ে বাসস্থানের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৭ সাল থেকে উগান্ডায় এই মাটি-ভিত্তিক মেঝে প্রচার ও স্থাপন করে আসছে। এ মেঝে শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী ধুলো দূর করার পাশাপাশি মেঝেগুলো জিগার্স (এক ধরনের পরজীবী মাছি যা ত্বকে প্রবেশ করে ব্যথা, চুলকানি ও সংক্রমণ সৃষ্টি করে) আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শুকনো মাটির মেঝের কারণে দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি এই ধরনের আক্রমণে অবদান রাখে।

আর্থএনেবলের বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক নোলিন মুতেসি বলেন, আমাদের মেঝে প্যাথোজেন এবং ধুলোর মেঝের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অসুস্থতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ, এই পরিবারগুলোর বেশিরভাগই হাসপাতালের খরচ বহন করতে পারে না।

বুদিমা গ্রামে রেহেমা নামুকোসে তার পরিবারের সঞ্চয়ের বেশিরভাগ খরচ করে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তিনি একটি পরিষ্কার মেঝের জন্য বাড়তি খরচ করতে পারেননি। পরে তিনি আর্থএনেবলের খোঁজ পান। সংস্থাটির মাধ্যমে কাদামাটির বিশেষ মেঝে তৈরি করেন। তিনি মনে করেন, নতুন মেঝের জন্য তার অসুস্থ মেয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। বলেন, এটি আমার পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী এবং আমাদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আমরা এখন আরও ভালো জীবনযাপন করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পথচারীদের ওপর উল্টে পড়ল সিলিন্ডারবোঝাই পিকআপভ্যান

যেই সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন মা, সেখানেই মারা গেল সন্তান

পদ্মা ও যমুনা সেতুর ইতিহাসে টোলের রেকর্ড

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত দুই শতাধিক যোদ্ধার পাশে দুই ফাউন্ডেশন

চট্টগ্রামে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত ৩

ভক্ত সোহাগের ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া

ভিসি খুঁজতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিল সরকার

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা হলো না স্বামী-স্ত্রীর

চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল কয়েকটি গাড়ি

ভারতীয় শাড়িবোঝাই ট্রাক আটক করলো জনতা

১০

রাঙামাটির সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি

১১

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নির্ঘুম এক রাত, মাঠে নামছে বিশ্ব ফুটবলের রাজারা

১২

দেশজুড়ে ৫ সহস্রাধিক বৃক্ষরোপণ

১৩

মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল পুলিশের স্ত্রীর

১৪

গুলিস্তান বাস কাউন্টারে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনির অভিযোগ

১৫

আগামী দুই সপ্তাহে বাংলাদেশের আকাশ চকচকে হয়ে যাবে : নিজান

১৬

আন্দোলন স্থগিত করল পবিস 

১৭

দুনিয়া কাঁপানো হাকাবাজ সাংসদরা এবার বরখাস্ত নিউজিল্যান্ডে

১৮

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া ইউনিটি কুষ্টিয়ার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

১৯

ছুটির মধ্যেও বিএমইউর বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা

২০
X