কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করেন উগান্ডার লোকজন

মেঝে ঝাড় দিচ্ছেন এক উগান্ডাবাসী। ছবি : সংগৃহীত
মেঝে ঝাড় দিচ্ছেন এক উগান্ডাবাসী। ছবি : সংগৃহীত

ধুলোয় একাকার মেঝে। এর মধ্যেই হামাগুড়ি দিচ্ছে শিশুরা। কোনো ঘরের মেঝে স্যাঁতসেঁতে। তাতে বাসা বেঁধেছে নানা ধরনের কীট। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করেন উগান্ডার লোকজন।

উগান্ডার বাসিন্দারা মনে করেন, এই মেঝে তাদের সব রোগের কারণ। স্বপ্ন দেখেন কংক্রিট দিয়ে মেঝে তৈরি করবেন তারা। কিন্তু বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী হিসেবে কংক্রিট দিয়ে মেঝে তৈরি করা অনেকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

এমন এক বাসিন্দা সাইমন তিগাওয়ালানা। তিনি বছরের পর বছর ধরে তার বাড়ির মাটির মেঝের উন্নতির স্বপ্ন দেখতেন। কারণ তিনিও এটিকে তার পরিবারের অসুস্থতার জন্য দায়ী মনে করতেন। তবে অর্থের অভাবে তার স্বপ্ন অধরাই ছিল।

তখন আর্থএনেবল নামে একটি কোম্পানি তার কাছে এসে বিকল্প প্রস্তাব দেয়। তারা বলে, কংক্রিটের তুলনায় অর্ধেকেরও কম খরচে টেকসই এবং সিল করা মেঝে বানানো যায়। আর সেটি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে কাদামাটি। তিগাওয়ালানা প্রথমে আমলে না নিলেও এখন তার দুটি কক্ষে এই নতুন মেঝে এবং শিগগিরই শেষ কক্ষটিতেও তা নির্মাণ করার আশা করছেন।

৫৬ বছর বয়সী ১৬ সন্তানের পিতা তিগাওয়ালানা বলেন, আমি খুশি যে আমাদের এখন একটি শালীন বাড়ি আছে এবং আমরা আরামদায়কভাবে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে পারি। যখন থেকে আমরা কাদামাটির তৈরি বিশেষ মেঝে পেয়েছি, তখন থেকে আমার বাচ্চারা আর সেই কাশি ও ফ্লুতে ভোগে না। মাটির মেঝে ঝাড়ু দেওয়ার সময় ধুলোর কারণে সেসব রোগ হতো।

আর্থএনেবল আফ্রিকাজুড়ে বাসস্থানের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৭ সাল থেকে উগান্ডায় এই মাটি-ভিত্তিক মেঝে প্রচার ও স্থাপন করে আসছে। এ মেঝে শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী ধুলো দূর করার পাশাপাশি মেঝেগুলো জিগার্স (এক ধরনের পরজীবী মাছি যা ত্বকে প্রবেশ করে ব্যথা, চুলকানি ও সংক্রমণ সৃষ্টি করে) আক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শুকনো মাটির মেঝের কারণে দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি এই ধরনের আক্রমণে অবদান রাখে।

আর্থএনেবলের বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক নোলিন মুতেসি বলেন, আমাদের মেঝে প্যাথোজেন এবং ধুলোর মেঝের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অসুস্থতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ, এই পরিবারগুলোর বেশিরভাগই হাসপাতালের খরচ বহন করতে পারে না।

বুদিমা গ্রামে রেহেমা নামুকোসে তার পরিবারের সঞ্চয়ের বেশিরভাগ খরচ করে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তিনি একটি পরিষ্কার মেঝের জন্য বাড়তি খরচ করতে পারেননি। পরে তিনি আর্থএনেবলের খোঁজ পান। সংস্থাটির মাধ্যমে কাদামাটির বিশেষ মেঝে তৈরি করেন। তিনি মনে করেন, নতুন মেঝের জন্য তার অসুস্থ মেয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। বলেন, এটি আমার পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী এবং আমাদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আমরা এখন আরও ভালো জীবনযাপন করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোজা পরেও পা ঠান্ডা? মারাত্মক কোনো রোগের ইঙ্গিত নাতো

ইসির বৈঠকে উঠছে তারেক রহমানের ভোটার হওয়ার নথি : ইসি সচিব

সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চোখে চাপ না দিয়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ দেখুন সহজেই

সিলেট স্টেডিয়ামেই শেষ শ্রদ্ধা, কুমিল্লায় চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাকি

বিএনপিতে রাশেদের যোগদান নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

রাজশাহীকে হারিয়ে বিপিএলে ঢাকার শুভ সূচনা

অস্ত্রসহ ছাত্রশিবিরের বহিষ্কৃত নেতা গ্রেপ্তার

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ রোববার

দুই বছর পর বড় পর্দায় অপু বিশ্বাস

১০

চ্যাটজিপিতে যুক্ত হলো অ্যাপল মিউজিক

১১

১ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল, মনোনয়ন পেলেন যিনি

১২

দুই সেকেন্ডে ৭০০ কিলোমিটার গতি তুলে ট্রেনের বিশ্বরেকর্ড

১৩

ফিল্ড অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ালটন

১৪

বিএনপিতে যোগ দিলেন গণঅধিকারের রাশেদ খান

১৫

কুমিল্লার যে আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিলেন আসিফ

১৬

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিয়ার স্টারমারের কাছে আবেদন

১৭

সংবর্ধনাস্থলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমিনুল হকের নেতৃত্বে বিএনপির বৃক্ষরোপণ

১৮

সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

১৯

অদ্ভুত অজুহাতে ৩ বছরে ৩ বিয়ে, অতঃপর...

২০
X